আজ বিশ্ব জলদিবস

জলের কাছে
তমাল সাহা

জল জল আর জল পৃথিবীর কাছে
থৈ থৈ জল অতল জল উথাল পাথাল জল
জলধারা জলপ্রপাত জলপ্রবাহ জলস্রোত— শব্দসমূহ জীবনের স্বাভাবিক উচ্চারণ হয়ে আছে

জলপারে বৃক্ষের ডালপালা জল ছুঁয়ে থাকে
স্থির জলে ডুবে থাকে আকাশের চাঁদ
জলের দিকে তাকিয়ে থাকি সে এক অনুভব
একেই বুঝি বলে নিঃশব্দ বিষাদ!

হয়তো বা কালিন্দী নয়তো বা মাতলা নদীর জলে ভেসে যায় বেহুলার কলার মান্দাস
মৃত পুরুষ পরীক্ষা করে বুঝি ভালোবাসায় মেশানো আছে কী কোনো খাদ
সুদূর পরাহত জল সাক্ষী থাকে নারীর হাতে লুকানো তার বাঁচিবার সাধ
কপালে তখনো থ্যাবড়ানো সিঁদুর আধো ঘোমটা টেনে প্রিয়তমের পাশে বসে আছে বেহুলা
জোয়ারের জলে দ্রুততার টান আসে ভেসে চলে দূরগামী ভেলা

প্রকৃতির কাছে চিরকাল হাত পেতে জল চেয়েছে পুরুষ
তৃষ্ণার্ত বুকে জল পানে বাধা দিয়েছে সেই নারী
তৃষ্ণা তার মিটে গেছে তখন সে উন্মুখ দেখতে থাকে সেই নারীর রমণীয় মুখ!

চারিদিকে জল কি মায়াময় তার বিস্তার
জলস্নানে ডুব দিয়ে উঠে আসে স্নিগ্ধ সিক্ত শরীরে এক জলনারী
আমি শুধু জল দেখি, পৃথিবীর তিন ভাগ জল
সব জল একান্ত আমারই

পৃথিবীতে জল নিঃশেষ হয় না কখনো
দুচোখের গভীরে নীলের ভেতরে ধরা আছে কত জল
আমি শুধু জল দেখি, জল আর জল!