নিজস্ব প্রতিবেদক : অবতক খবর :     জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী দীঘার দহদয়া গ্রামের গৌতম বেরা যাঁর দুটি পা পুরোপুরি বিকল। ওঠা বসা হাঁটা চলা কিংবা কাজ করার জন্য একটি সাইকেলই সঙ্গী। এইভাবে কেটেছে ৪৭ টি বছর। দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর পরিবারের অভাব অনটন ঘোচাতে নিজের সামান্য দুটি হাতে ভর করে খানিকটা হামাগুড়ি দেওয়ার মতো কখনও সাইকেল করে জমিতে কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে বিভিন্ন শাক, সবজি চাষ করেন এবং দীঘার বাজারে বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু গত এক বছর ধরে করোনার ভয়াবহতার জেরে বার বার লক ডাউন হওয়ার কারণে প্রতিবন্ধী গৌতম আজ চরম সঙ্কটের সম্মুখীন।

দীঘা পর্যটন কেন্দ্রে এখন পর্যটকদের আনাগোনা নেই। হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ ফলে চাষাবাদের উৎপাদিত শাক সবজি অন্যান্য ফসল এখন কেউ নিচ্ছে না, সাময়িক সময়ের জন্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে না, পচে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে সাইকেলে ভর করে কোনো রকম পায়ে ঠেলা দিতে দিতে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়িয়ে যৎসামান্য সবজি বেচলেও বেশিরভাগ শাক সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য এখন আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন।

ক্ষোভের সাথে গৌতম বলেন জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী হলেও এখনও পর্যন্ত কোন প্রকার সরকারি সাহায্য সহানুভূতি মেলেনি। স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে আমার পরিবার । কিভাবে চলবে সংসার তা ভেবে দিশেহারা। প্রতিবন্ধকতা কে দূরে সরিয়ে মনের জোরে এতো দিন জীবন যুদ্ধে সফল হলেও লক ডাউনের গেরোয় পড়ে পরিবারে অন্ন জোটাতে হিমসিম খেয়ে মনে হচ্ছে যেনো হেরে গেলাম। সবজি বেচা ছাড়া আর কোন কাজ করার উপায় নেই, দুটি পা বিকল বলে কেউ কাজ দিতে চায়না তাই অভাব অনটন হলেও ঘরে বসে থাকা ছাড়া আর উপায় নেই।