অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :- রাত পেরোলেই দীপাবলি উৎসব। কিন্ত করোনা আবহে সেই উৎসবের আমেজ কোথাও যেন ফিকে হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি করোনার আবহের জেরে দেশজোড়া লকডাউন চলেছে মাসের পর মাস। এরইমধ্যে ভারত চীন সীমান্তে দুই দেশের উষ্ণ সম্পর্কের জের। ফলশ্রুতি চীনা লাইট ব্যবহার বন্ধ হয়েছে এই বছরে।

 

কিন্তু টা সত্ত্বেও করোনা আবহে লোকসানের মুখে হাওড়ার মোমবাতি শিল্পীরা। কর্মহীনতায় ভুগছে এখানকার শিল্পীরা। তাই দীপাবলী উৎসবের আগে সেই চেনা ব্যস্ততা হারিয়েছে এখানকার শিল্পীরা। এই বছরে নেই সেই মোমবাতি তৈরির ব্যস্ততা। এবারে নেই আগের বছরের মতো অর্ডার। দীপাবলির আগে যে কারখানা চরম কর্ম ব্যস্ততায় মগ্ন হয়ে থাকতো।

এই বছরে তা আজ নিস্তব্ধ। এই সময়ে অন্য বছরে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ব্যবসা করতো। এই বছরে সেই ব্যবসা ৩০% ছাড়ায়নি। এই বছরে মোমবাতির চাহিদায় ভাঁটা পড়েছে অভূতপূর্ব ভাবে। ফলে শ্রমিকদের মাইনে দিয়ে কানাকড়ি লভ্যাংশ ঘরে তুলতে পারেনি তারা। এইভাবে চলতে থাকলে এই ব্যবসা কতদিন টিকিয়ে রাখতে পারবেন সেই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। অন্যদিকে এখন থেকে মোমবাতি নিয়ে গিয়ে যারা ছোট ছোট দোকানে সাপ্লাই করেন। তারাও এই বছরে সেভাবে আসে নি। আগে যেখানে ৪০-৫০ জন শ্রমিক কাজ করতো এবারে ৫-৬ জন নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। বেশি পরিমাণ মোমবাতি বানানোর ঝুঁকিটাও তারা নিতে চাইছেন না। আর এই লকডাউন কতদিন চলবে তা ভেবে এই বছরে ব্যবসা করতে পারছেন না তারা।

ফলে দীপাবলির এই উৎসবে গোটা দেশ যেখানে মেতে ওঠে এবারে তা কতটা কার্যকর হবে সেই নিয়ে সন্দিহান তারা।
তাই চাহিদার টানাপোড়েন এবং ক্রেতার অভাবে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন এই মোমবাতি শিল্পীরা। শিল্পীরা জানাচ্ছেন করোনা আবহে লকডাউনের জন্য রাখি তৈরির কাঁচামাল কেনার সুযোগ তারা পান নি।

সেই সঙ্গে ভাঙা ভাঙা লকডাউনের জন্য বিক্রির ব্যবস্থাও নেই এই বছরে।  তাই বিক্রির পরিমান এক ধাক্কায় নেমে এসেছে ৩০%-৩৫% এ। আগে যেখানে ৫-৬ লাখের ব্যবসা হতো তাই নেমে এসেছে ৩০%। তাই কোভিড-১৯ ও লোকডাউন তাদের ব্যবসায় চরম সংকট তৈরি করেছে। সেই সমস্যা এখন এক চরম অন্ধকারের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে মোমবাতির ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ।