অবতক খবর,২১ আগস্ট: জনসংখ্যার নিরিখে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চীনে শিশু বা যুবকের সংখ্যা বৃদ্ধি দর একেবারে তলানিতে।দেশে শিশুদের জন্ম কম হওয়ায় দেশে যুব জনসংখ্যায় চিনে ব্যাপক খরা দেখা দিয়েছে। দেশে বাড়ছে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা।

চীনের শিশু জন্মের এই হার দেখে পুরনো এক শিশুর নীতিকে পরিবর্তন এনে দুই শিশু নীতি গ্রহণ করে চীনা সরকার ২০১৬ সালে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি তেমন বৃদ্ধি পায়নি চীনের জনসংখ্যা। তাই এবার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল চীনা সরকার। চীনা সরকার তাদের পার্লামেন্টে তিন সন্তান নীতির চূড়ান্ত আইন পাস করলো। চীনের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ন্যাশনাল people’s কংগ্রেসের বৈঠকে দেশটির শীর্ষ আইন প্রণেতাদের সম্মতিতে এই আইন পাস করল চীন।

উল্লেখ্য গত ২০১৬ সালে চীন সরকার ভারতের মতো ‘হাম দো হামারে দো’ নীতি অবলম্বন করে জনসংখ্যার বৃদ্ধির  চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো বিশেষ লাভ হয়নি। গত বছরে চীনে কেবল মাত্র ১ কোটি ২০ লক্ষ শিশুর জন্ম গ্রহণ করেন।

চীনে বয়স্কদের জনসংখ্যা বাড়ছে অথচ শিশু ও যুবকদের সংখ্যা ভীষণ কম। এতে দেশের উৎপাদন, সামরিক শক্তি ভীষণ ভাবে প্রভাবিত হবে বলেই মনে করেন রাষ্ট্রপতি শী জিং পিং। রাষ্ট্রপতি দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জনসংখ্যা বৃদ্ধির ঘটাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গতকাল অর্থাৎ ২০শে আগস্ট আইনে পরিণত করা হয় তিন শিশুর নীতি।

শিশুর জন্মানোর পর সেই শিশুগুলির লালন -পালন নিয়ম সরকার আর্থিক সাহায্য করবে বাবা-মাদের বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটিও মঞ্জুর করবে চীনা সরকার। দেশের শিশু ও যুবকদের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি রোজগারও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও শিশুদের লালন পালন পরিকাঠামো ও বৃদ্ধি করতে চলেছে চীনা সরকার।

তবে তিন শিশুর নীতি লংঘন করলে আর্থিক জরিমানা দিতে হবে সেই বাবা-মাকে সেটাও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে সরকার।