অবতক খবর,১ এপ্রিলঃ চন্ডীতলার কাপাসহারিয়া পঞ্চায়েতের শাহানা মৌজায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের ধারে শ্যামাশ্রী অ্যাপার্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জল ঘোলা কম হয়নি। সংস্থার পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছিল চাহিদা মত তোলা আদায় না করতে পেরে নির্মাণ কাজ বন্ধের চেষ্টা করা হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নাম জড়িয়ে ছিল পঞ্চায়েত প্রধান সুরজিৎ পাল ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ রেখা জানা সহ শেখ আব্দুল হাকিম নামের এক পঞ্চায়েত সদস্যর।

আরো অভিযোগ ওঠে,জল নিকাশির অজুহাত দেখিয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পাঁচিল ভেঙে দেবার। কিন্তু এই নির্মাণ কাজ প্রসঙ্গে বাস্তবে অন্য কথা বলছেন গ্রামবাসী তথা এলাকাবাসী। শাহানা মৌজা সংশ্লিষ্ট সেই জায়গায় গেলে। চোখে পড়ে প্রায় পাঁচ বিঘা জমির উপর ১২ ফুট উঁচু পাঁচিল। পাঁচিলের পাশের নালা ক্রমশ বড় থেকে সংকীর্ণ হয়েছে। পাশের জমির মালিক সমিরন ব্যানার্জীর জায়গায়। রাতারাতি বেআইনিভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে পাঁচিল।

বর্ষাকালে এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। রাতের অন্ধকারে দেদারে চলছে পুকুর ভরাটের কাজ। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ৫ বার চিঠি দেয়া হলেও এই পত্র গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়নি সংস্থার মালিক শিউকুমার লাডিয়া ও তার ছেলে পঙ্কজ লাডিয়া। উল্টে পঞ্চায়েত কে হুমকি দেয়। আপনাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করব। শিল্পের নামে লোকের জমি দখলের কাজ চালাচ্ছে সংস্থার মালিক। শিউকুমার লাডিয়া ও তার ছেলে পঙ্কজ লাডিয়া। পাশের জমির মালিক। সমিরন ব্যানার্জির জমি দখল করে নিচ্ছে এমনটাই অভিযোগ করলেন তিনি ।প্রতিবাদ করলে তাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। জমি ছেড়ে দিতে হবে না হলে তাকে প্রাণে মেরে মেরে ফেলা হবে। শিউ কুমার লাডিয়া ও তার ছেলে পঙ্কজ লাডিয়া । পাশের বড়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শক্তিপদ কোলে ওরফে বাবলুর জমি দখল করেছেন। শিউ কুমার লাডিয়া এবং তার জমিতে থাকা তার ব্যবসার ৪০০০০ টাকার বাঁশ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। এই জমি মাফিয়া শিউ কুমার লাডিয়া চন্ডীতলা থেকে সিঙ্গুর পর্যন্ত। হাইওয়ের ধারে কম দামে জমি কিনে বেশি দামে বিক্রি করেন। এটাই তার মূলত ব্যবসা। এলাকার মানুষ শিউ কুমার লাডিয়া এবং পঙ্কজ লাডিয়া কে । আড়ালে আবডালে জমি হাঙ্গর বলে ডেকে থাকেন। পঞ্চায়েত প্রধান সুরজিৎ পাল বলেন শিউ কুমার বেআইনি কাজ করছে লোকের জমি দখল করে নিচ্ছে লোকের নামে মামলা করছে। তাই তার বিরুদ্ধে পাড়ার লোক আমার কাছে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছিলেন। এই অভিযোগ পত্র গ্রহণ করার কারণে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে । শিউ কুমার গরীব লোকের জমি দখল করে বিক্রি করে দেয়। গরিব মানুষ যখন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তিনি গরিব মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আগামী দিনে তিনি যদি ক্ষমা না চান তাহলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব বলে জানিয়েছেন প্রধান সুরজিৎ পাল। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ রেখা জানা জানান। আমি এলাকার জন প্রতিনিধি। মানুষ অভিযোগ করেছিল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে দেখতে গিয়েছিলাম। দেখতে যাওয়ার কারণেই আমাকে ফাঁসানো হয়েছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারেন। তাহলে তার সঙ্গে আগামী দিনে হাইকোর্টে দেখা হবে।। এবং তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করা হবে।