অবতক খবর, রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :: আমফান ঝড় রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে প্রায় দুই মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি তে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাণ বিলি কে কেন্দ্র করে শাসক দলের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যান্য জেলার মতোই হাওড়া জেলাতেও আমফান রেখে গেছে তার তৈরি টকর ধ্বংসাত্মক পদচিহ্ন।

সেই ঘূর্ণিঝড়ে সর্বস্ব হারানো এমনই এক অসহায় মানুষ নূর কালাম। আমফানে ভেঙেছে তার বাড়ি। হাওড়ার পাঁচলা জলা বিশ্বনাথপুর এর অন্তর্গত কলনিপাড়াতে নুরকালাম সপরিবারে বসবাস। আম্ফান পরবর্তী সময় থেকে তার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় স্কুলে। আম্ফানে নিজের ঘর ভাঙলেও এখনো পর্যন্ত মেলেনি কোনো রকম সরকারি সাহায্য। নিজের সামর্থ্য নেই ঘর সারানোর। হাতে কোনো কাজও নেই। মেলেনি কোনো আর্থিক সহায়তা। আমফানের আগে লকডাউনে হোটেলে বাসন মেজে কোনরকমে সংসার চলত। আর এখন হোটেলেও কাজের ডাক পড়েনি দীর্ঘদিন।

কোনরকমে পাড়া-প্রতিবেশীর সাহায্যে আধপেটা খেয়ে কখনো অনাহারেই দিন কাটছে তাদের। ভাগ্যও সহায় নয় তাই অনেক সময় পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকেও বিভিন্ন ভাবে লাঞ্ছনা-গঞ্জনারও শিকার হতে হচ্ছে। তবু অসহায়ের মতো চোখ-কান বুজে নিজের অসহায়ত্ব সহ্য করেই রয়েছে। তিনি জানান আমফানের ক্ষতিপূরণের ফরম ফিলাপ করে জমা দিলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা মেলেনি পঞ্চায়েত বা বিডিও থেকে। যদিও এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান জানান সঠিক সময়ে নূর কালামের পরিবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আর তার এই সমস্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বিডিও বিষয়টি যতসম্ভব গুরুত্ব দিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

পাশাপাশি প্রধান বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে ,ওই পরিবার সঠিক সময় মত যোগাযোগ করেনি। তাই তারা ক্ষতিপূরণ পাননি। তাহলে একাধিক পরিবার এখনো ওই পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে যারা সঠিক নিয়ম মেনে ফর্ম জমা করেছিল কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এখনো আমফানের ক্ষতিপূরণ পাননি।