অবতক খবর,৯ জুলাইঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজত্ব মানেই মা-মাটি-মানুষের রাজত্ব। এমনই স্লোগান দিয়েই তৃণমূল সরকার রাজত্ব কায়েম করেছিল। মা-মাটি-মানুষ মানে শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ালো বোমা,বন্দুক এবং মৃত্যু। রাজ্য সরকারের এত সামাজিক প্রকল্প কন্যাশ্রী,যুবশ্রী,স্বাস্থ্য সাথী,লক্ষ্মীর ভান্ডার,এত গর্ব এত অহঙ্কার কোথায় গেল? জন প্রকল্প যদি জনম মঙ্গল করেই থাকে তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন জেতার জন্য এমন ভয়ংকর সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে হলো কেন? কেনো গেস্টাপো বাহিনী বুথে বুথে সন্ত্রাস সৃষ্টি করল?

মৃত্যুর সংখ্যা এখন গোনা হচ্ছে ডজনে। প্রায় তিন ডজন চারটি মানুষ মারা গিয়েছে এই নির্বাচনে।

পশ্চিমবঙ্গ যে রবীন্দ্রনাথ নজরুল জীবনানন্দের দেশ, রামমোহনের দেশ বিদ্যাসাগরের দেশ বিবেকানন্দের দেশ বলে ঘোষণা করা হয়, সেখানে নির্বাচনের নামে যে ঘটনা ঘটল আন্তর্জাতিকে তা এক কলঙ্কের ইতিহাস রচনা করল।

কাঁপা চাকলা, পলাশী মাঝিপাড়া অঞ্চলে ভোট প্রক্রিয়া চলল ভোটের সময়সীমা পাঁচটা পর্যন্ত সেই সীমা বিআইনিভাবে লংঘন করে রাত ৬-৭টা পর্যন্ত। চলেছে দেদার ছাপ্পা ভোট। যে ভোট বিকাল ৫টায় শেষ হওয়ার কথা সেখানে দীর্ঘক্ষণ পুরো দমে ভোটের নামে প্রহসন চলছে। এই ভোট যে কোন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়, এই ভোট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে নিজের অধিকার প্রয়োগ করা যায় না,তা প্রমাণ করে দেখালো পশ্চিমবঙ্গের এই পঞ্চায়েত ভোট।

মৃত্যুর ঘটনা এমনও ঘটেছে যে, বুথের দুয়ারে পড়ে রয়েছে লাশ। ভোটার, ভোট কর্মী,বুথ এজেন্ট পর্যন্ত মারা গিয়েছে। আজ ভোট উৎসবের নামেআন্তর্জাতিক দুনিয়া পশ্চিমবঙ্গে দেখল এক মৃত্যুর মিছিল,এক মানুষ খতমের উৎসব।