অবতক খবর ,সুজিত গৌড়: হুগলী:-  বাঙালি খেতে ভালবাসে।খাওয়ার পাতে যদি পরে ইলিশ তাহলে খাওয়ার মজাটাই আলাদা হয়ে যায়। আমবাঙালি পাতে ইলিশ মাছের স্বাদ দিতে পেংবা বা মনিপুরি ইলেশের চাষ শুরু হচ্ছে এরাজ্যেও।হুগলীর পোলবার অবতক খবর ,সুজিত গৌড়: হুগলী:- রাজহাট :- বাঙালি খেতে ভালবাসে।খাওয়ার পাতে যদি পরে ইলিশ তাহলে খাওয়ার মজাটাই আলাদা হয়ে যায়। আমবাঙালি পাতে ইলিশ মাছের স্বাদ দিতে পেংবা বা মনিপুরি ইলেশের চাষ শুরু হচ্ছে এরাজ্যেও।হুগলীর পোলবার রাজহাটে অমিত হাজরা নিয়ে আসে এই নতুন ধরনের মাছ। তাদেখে উৎসাহী হয় চাষীরা।বছর দুয়েক আগে অমিত বাবু হাওড়ায় রঙিন মাছের চাষ দেখে নিজে সেই মাছ চাষ শুরু করেন। তবে অভিঞ্জতা না থাকায় মাছ চাষে সাফল্য পাননি।পরে নেতাজি মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন করে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি ।

 

তাঁর সদিচ্ছা দেখে জেলা মৎস দপ্তর প্রযুক্তিগত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।দশটি চৌবাচ্চা করে তাতে রঙিন মাছ চাষের পাশাপাশি সিঙি, মাগুর, কই, ট্যাংরা চাষ শুরু করেন।বাংলার পুকুরে রুই, কাৎলা, মৃগেল চাষ হয় বহুদিন ধরে ।হাইব্রিড প্রযুক্তি আসার পর সিলভারকাপ, গ্লাসকাপ, ব্রিগেডকাপ, লাইলনটিকা, আমেরিকান রুই,হাইব্রিড মাগুর,ভিয়েতনামী কই এর চাষ হচ্ছে গ্রাম বাংলা জুরে।তবে এর কোনটাই খেতে তেমন সুস্বাদু না। স্বাদে গন্ধে ভালো এমন নতুন মাছের খোঁজে জেলা প্রশাসনের সাহায্যে বছর দুয়েক আগে উড়িষ্যা থেকে পেংবার পোনা নিয়ে আসেন অমিত। মৎস দপ্তরের সাহায্যে শুরু হয় ব্রিডিং।সফলতার সঙ্গে ডিম ফুটিয়ে মনিপুরি ইলিশের চারা তৈরী করেন।পুকুরে রুই কাৎলার সঙ্গে মিশ্র চাষ করা যায় পেংবার ।ভাল চাহিদা তৈরী হয়েছে ইতিমধ্যেই তাই উৎসাহী চাষীরা পেংবা সংগ্রহ করে চাষ শুরু করেছেন।বছরে শুধু পেংবা মাছ চাষ করলে সাতশো থেকে আটশো গ্রাম ওজনের হয়ে যায় এই মাছ মনিপুরি ইলিশ বা পেংবা।ইলিশ না অথচ স্বাদে গন্ধে অনেকটা ইলিশের মত খেতে এমনটাই দাবি করছেন তিনি।খুব তারাতারি বাঙালির পাতে পরতে চলেছে মনিপুরি ইলিশ।