অবতক খবর,৩১ মার্চ,তমলুক: দোকানের বিক্রি হওয়া অর্থ ক্যাশ বাক্সে রেখে চলে যায় দোকানের মালিক। সকালে এসে দেখে ক্যাশ বাক্সে টাকা নেই। এতো হাজার টাকা গেলো কোথায়। দোকানের অন্যান্যদের জানায় তারা নিয়েছে কি না। তারা জানায় না নেয়নি।তবে এতোগুলা টাকা গেলো কোথায়। চিন্তায় পড়ে দোকানের মালিক।

দোকানের একটি কোন থেকে উদ্ধার হল খোয়া যাওয়ার ১২ হাজার ৭০০ টাকা। বাকিটা ক্যাশ বাক্সেই রয়েছে।

তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে জেলা পরিষদের মার্কেট কমপ্লেক্সেই অমলকুমার মাইতির মশলাপাতির দোকান। বুধবার রাতে দোকানের ক্যাশবাক্সে নগদ ১৪ থেকে১৫ হাজার টাকা রেখে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। এদিন সকালে দোকান খুলে চোখ কপালে। ক্যাশবাক্স ফাঁকা। কোনও টাকা নেই। সামান্য কিছু টাকা পড়ে রয়েছে। খবর পাওয়ার পর

আশপাশের দোকানদাররা ভিড় জমান। কিন্তু তাদের কোনও পরামর্শই মনপসন্দ হচ্ছিল না অমলবাবুর। একজন বললেন, “তাহলে আর দেরি কেন, এবার পুলিশকে ফোন করুন। অমলবাবুর দোকানে চার-চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। পুলিশকে জানানোর আগে একবার তার ফুটেজ দেখবেন বলে ঠিক করলেন অমলবাবু। চালানো হল সিসিটিভি। অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়ল না। ফলে ফের মনমরা হয়ে গেলেন।মনমরা হয়ে বসেই রইলেন দোকানে অমল মাইতি।

এভাবে কিছুক্ষণ কাটার পর কয়েকজনের পরামর্শে আবারও ফুটেজ দেখার পরিকল্পনা হল। সবাই আরও খুঁটিয়ে। সারারাতের ফুটেজ। দেখতে দেখতে হাই উঠতে শুরু করল সবার। কিন্তু চোরের দেখা নেই। এই করতে করতে সিসিটিভির ঘড়িতে রাত শেষ হয়ে সকাল সাতটা ছুই। হঠাৎ একজন চিৎকার করে উঠলেন- ‘এক মিনিট। এক মিনিট। তাঁর কথা শুনে ফুটেজ পিছিয়ে দেখা হল একটু। আর শনাক্ত হল অপরাধীও। দেখা গেল চোর বাবাজিটি আর কেউ নয়, বেশ হৃষ্টপুষ্ট সাইজের একটি ইঁদুর। ক্যাশবাক্সে সামান্য একটু ফাঁক। সেটি আবিষ্কার করেছে সে। তারপর তাতে মুখ গলিয় নোট বের করছে। কখনও একটা। কখনও এক গোছা। তারপর তা মুখে করে তড়বড় করে চারপেয়ে হেঁটে যাচ্ছে দোকানের এক কোণে। সেখানে গচ্ছিত রাখছে চোরাই টাকা। যাচ্ছে আর আসছে। এই করতে করতে ক্যাশবাক্স প্রায় ফাঁকা। এরপর খোঁজ খোঁজ। ইঁদুরের সেই গোপন ভল্টের সন্ধান অবশেষে মিলল। পাওয়া গেল ১২ হাজার ৭০০ টাকাও।

সিদ্ধিদাতার বাহন বলেই বোধহয় ব্যবসায়ী অমলকুমার খুব একটা আমল দিলেন না বিষয়টিকে। বললেন সবই গনেশের ইচ্ছায়।