অবতক খবর, ১৪ নভেম্বর : অবৈধভাবে PWD যায়গায় দোকান ঘর বানিয়ে গুছিয়ে তুলেছিলেন একটি ছোট করে তেলেভাজার ব্যাবসা! আর কোর্টের নির্দেশে ওই দোকান ঘর ভেঙে ফেলায় মাথায় হাত দোকান মালিকের। পশ্চিম মেদিনীপুর এর কেশিয়াড়ী বল্কের পাঁচিয়াড় এলাকায় রাস্তার পাশে ব্যাবসা করার জন্য অবৈধভাবে PWD যায়গায় গজিয়ে উঠেছিল ৩টি দোকান ঘর, আর সেই দোকান ঘরের পেছনে ওই এলাকার ১ ব্যাক্তির জমা যায়গা থাকার কারনে ২০১৯ সালে তিনি আদালতে কেশ করেন।আর আদালতের নির্দেশে ২০২২-এর ঠিক আজকেই ভেঙে দেওয়া হলো ওই ২-খানা দোকান ঘর গুলো। তবে রাজ্যের সরকার যখন বার বার বলছে তেলে ভাজার দোকান করতে, ব্যাবসা করতে তখনই দিন আনি দিন খাই পরিবার গুলো রাস্তার পাশে একটু ব্যাবসা করে আশার আলো দেখলে সেই আলো যেনো মিশে যাচ্ছে অন্ধকারে। সোমবার সকালে PWD অফিসার ব্লকের বিডিও বেলদা এসডিপিও, কেশিয়াড়ী আইসি ও ইলেকট্রিক দপ্তরের আধিকারিক দের উপস্থিতিতে পাঁচিয়াড় বাসস্ট্যান্ডের কাছে হরেন চন্দ, কমলা পাল, পূর্ণচন্দ্র মাইতি এই তিন জনের দোকান ঘর ভাঙতে আসে পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। যদিও পূর্ণ চন্দ্র মাইতি দোকান ঘর ভাঙতে এলে বাধা দিয়ে বলেন ভাঙার আগে কোর্টের কোনোরকম নোটিশ আসেনি তাদের কাছে, তবে একথা শুনে ঘর ভাঙা থেকে পিছিয়ে আসেনি পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা, আর ২টো দোকান ঘর কোর্টের নির্দেশ মতো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দোকানের জিনিসপত্র নিয়ে এখন রাস্তায় ওই দুই দোকান মালিক, অসহায় দোকান মালিক জানান দীর্ঘ ৩৭-৪০বচ্ছর এমনি দোকান ঘর করে নিজেদের সংসার চালান কিন্তু এরপর কি হবে তাদের?