অবতক খবর,১৯মে: কাঁপা মোড় অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ওই অঞ্চলের অধিবাসীরা। তাদের দাবি ছিল এই অঞ্চলে তারা কোন পানশালা খুলতে দেবেন না। এই ছিল তাদের বিক্ষোভ।

অন্যদিকে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, সেখানে তাদের পানশালা নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা নেই এবং সেই ধরনের লাইসেন্সও তাদের নেই। ফলে কারা গুজব রটালো, কারা পরিস্থিতিকে উত্তেজক করে তুলল,তারা মনে করছেন এর পেছনে বিশেষ একশ্রেণীর চক্রান্ত রয়েছে। তারা বলেন যে, এখানে একটা বড় শপিং মলের মতো তৈরী হবে এবং সেখানে হবে গাড়ির শোরুম। টু হুইলার,ফোর হুইলার বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। সেইমত ট্রেড লাইসেন্সের দরখাস্ত করা হয়েছে ‌কাঁপা-চাকলা পঞ্চায়েতে।

তারা বলেন,এর সত্যতা নিরূপণের জন্য আপনারা পঞ্চায়েত প্রধান রবি নিয়োগীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ‌ এই মর্মে তারা যে আবেদন করেছেন সেই কাগজপত্র তারা দেখান।

এদিকে ওই অঞ্চলে এই বিশাল শোরুমটি হওয়ার জন্য যে কর্মকাণ্ড চলছিল তা ব্যাহত হয়েছে। তারা প্রাচীর ঘিরে ভিতর কাজ করার জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন, লকডাউনের কারণে তা স্থগিত থাকলেও, প্রায় দশজন সাধারণ মানুষ সেই প্রাচীর অর্থাৎ রাজমিস্ত্রি ,জোগাড়ে সহ দশজন মানুষ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তারা তাদের এই দিনমজুরি থেকে বঞ্চিত হলেন বলে তারা জানিয়েছেন। কারা তাদের রুটি-রুজি কেড়ে নিতে চাইলেন এটি তারা বুঝতে পারছেন না।

তারা বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনও আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা ঘটল আমরা তা বুঝতে পারছিনা। এই শোরুম যদি এই অঞ্চলে হয় তাহলে অন্তত পক্ষে এই অঞ্চলের ২৪ জন বেকারকে আমরা কাজ দিতে পারব। তাদের জন্য এটা ছিল একটা সুযোগ। কিন্তু চক্রান্ত করে এটা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমাদের স্পষ্ট করে বলতে কোন অসুবিধা নেই,এক কায়েমি স্বার্থ আমাদের থেকে চাঁদা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল, এই কাজের জন্য চাঁদা চেয়েছিল। আমরা তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি এই বিষয়ে চাঁদা দেওয়া হবে কেন। কারণ এটা কোন বেআইনি কাজ নয়। এখানে এই কাজটি যদি সম্পন্ন হয় এই অঞ্চলের বেকাররা এখানে কাজের সুযোগ পাবে। সুতরাং এটা কোন বেআইনি কাজ নয়।‌কোন কোন প্রচার মাধ্যম এই নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।

তবে আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই যে এই বিষয়ে সমস্ত কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে এবং বীজপুর থানা প্রশাসনের সঙ্গেও আমরা সংযোগ রক্ষা করে চলেছি।