অবতক খবর সংবাদদাতা :: মোদী সরকার কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ভুট ভাট যেমন তেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই অভিযোগ নতুন নয়। একের পর এক এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার খেসারত দেশ বাসীদের দিতে হয়েছে। নোট বন্দি হোক বা লকডাউন ঘোষণা। দেশ বা দেশের মানুষ এতে কি করবেন, কি ব্যবস্থা নেবেন, এমন কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই রাতা রাতি প্রধান মন্ত্রী ঘোষণা করে দেশবাসিদের বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।

এবার দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে নতুন অবাস্তব ফায়সালা ।দিল্লিতে আটকে পড়া সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখার পর এখন নতুন ঘোষণা। বাড়ি ফেরার ট্রেন দেবে সরকার। দিল্লির রামলীলা ময়দানে এসে নাম লেখাতে হবে তাদের। একদিকে সকল কে লকডাউন মানতে বলছে সরকার। অন্য দিকে সকল কে রামলীলা ময়দানেও আস্তে বলেছে । ভাবুন কি অবস্থা ।লক্ষ লক্ষ শ্রমিক সমস্ত সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সইং ভুলে রামলীলা ময়দানে উপছে পড়েছেন নাম নথিভুক্ত করতে। ভাবুন সরকারের এই পদক্ষেপে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর রাস্তা তৈরি করে দেয়া হলো

শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে বাড়ি ফিরতে নাম লেখানোয় উপচে পড়া ভিড় গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দানে। হাজার হাজার শ্রমিক ভিড় জমিয়েছেন গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দানে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বিপুল সমাগমে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

লকডাউনের জেরে দেশের নানা প্রান্তে লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছেন। আটকে পড়া ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে তৎপরতা নিয়েচে রেল। চালু হয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। এবার ওই বিসেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরতে নাম লেখানোয় উপচে পড়ল ভিড়। গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দানে সামাজিক দূরত্বের বিধি শিকেয় তুলে ভিড় জমালেন হাজার-হাজার পরিযায়ী শ্রমিক।

গায়ে-গায়ে বসে দাঁড়িয়ে রেলের খাতায় নাম লেখানোয় জোরদার তৎপর হলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে নাম নথিভুক্ত করার সমস্ত পদ্ধতির আয়োজন হয়েছে উত্তরপ্রদেশের এই এলাকায়। যে শ্রমিকরা বিশেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরতে চান তাঁদের প্রথমে নাম নথিভুক্ত করাতে হচ্ছে রামলীলা ময়দানে এসে। তাঁদের স্ক্রিনিং করে করোনা আক্রান্ত কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।