অবতক খবর,১৮ই ডিসেম্বর: তৃণমূল অদ্ভুত একটি দল। প্রতি মূহূর্তেই বোঝা যায় যে কাঁচরাপাড়ায় এই দলে একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এই তৃণমূল দলে এখন A এবং B দুটো গ্রুপে পরিণত হয়েছে। A গ্রুপে রয়েছেন তারা যারা ২৩শে মে-র পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাননি,এইরকম মুষ্টিমেয় কয়েকজন কাউন্সিলর। আর যারা বিজেপিতে যোগদান করে আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন তারা B গ্রুপ গোষ্ঠীভুক্ত হয়েছেন। ফলত একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকছে।

এরমধ্যে বর্তমান টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি খোকন তালুকদার A গ্রুপে রয়েছেন। A গ্রুপের রয়েছেন কাউন্সিলর সুজিত দাস, অলোকময় লাহিড়ী, সুভাষ চক্রবর্তী, উৎপল দাশগুপ্ত প্রমূখ কাউন্সিলররা।

বেশিরভাগ কাউন্সিলরই চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে, তারা রয়েছেন B গ্রুপে। সূত্রে জানা গেছে, যারা A গ্রুপ গোষ্ঠীভুক্ত তারাই নাকি সাচ্চা তৃণমূল কর্মী। তাই B গ্রুপের দিকে নজর রাখা হয়েছে।

আগামীতে তাদের কোনরকম সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে না। কিন্তু তারা তৃণমূল কর্মী হিসেবেই থেকে যাবেন, এমনই ধারণা। এদিকে এটি যে যথাযথ সত্য তা পরিষ্কার, তা প্রকাশ্যে এক বক্তব্যে জানালেন কাউন্সিলর উৎপল দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, বহুদিনের পুরনো কর্মী খোকন তালুকদার। তিনি এক পোড়খাওয়া তৃণমূল কর্মী।

সেই হিসেবে তাকে সম্মান দেওয়া হয়েছে। তিনি কাঁচরাপাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদ পেয়েছেন। এর জন্য আমরা উল্লসিত। পরবর্তীতে তিনি বলেন, যারা দলবদল করেছিল সেই সমস্ত কর্মীদের তিনি ভুয়ো মাল,ছাট মাল বলে সম্বোধন করেন। এই মালরা যেকোন পদে আসতে পারবেনা, তৃণমূল কর্মীই থাকবে, কর্মী হিসেবেই কাজ করে যাবেন । এইটা তিনি পরিষ্কার বলে দেন এবং তিনি তাদের পক্ষে নেই।

এদিকে এই নিয়ে বাজারে আলোচনা চলছে যে, কাঁচরাপাড়ার এই তৃণমূল দলটির এতদিন কোনো নেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, কেন তাও বোঝা যাচ্ছিল না। তবুও খোকন তালুকদারকে এখন সভাপতি রূপে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু দলের মধ্যে একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকেই যাচ্ছে। ফলত A গ্ৰুপ এবং B গ্রুপ যে তৃণমূল দলে রয়েছে সেটা আরেকজন বরিষ্ঠ নেতাও স্বীকার করে নিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেছেন, আমরা তো পেছনের বেঞ্চে রয়েছি। সুতরাং আমরা পদ কি করে পাবো সে নিয়ে আমাদের মধ্যেও সন্দেহ রয়েছে।