অবতক খবর,১০ নভেম্বর: কাঁচরাপাড়া ১৮ নং ওয়ার্ডের ধামাকা সংঘ প্রতিবছর আয়োজন করে ছট্ পুজোর। এই ক্লাবের সদস্যরা নিজেদের সীমিত পরিধির মধ্যে এতদিন এই ছট্ পুজোর আয়োজন করে আসছিল।
কিন্তু এবছর ধামাকা সংঘ বলতে গেলে ধামাকেদার আয়োজন করেছে এলাকাবাসীদের জন্য।

যেহেতু গত বছর করোনার কারণে সেই অর্থে তাদের আয়োজন করে ওঠা সম্ভব হয়নি। এবছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই তারা বিশেষ করে গুরুত্ব দিয়েছে কর্মহারা এবং দুঃস্থ মানুষদের। সেই সঙ্গে তাদের পাশে সাধারণ মানুষ তো রয়েছেনই।

কাঁচরাপাড়া ১৮ নং ওয়ার্ডের এই ধামাকা সংঘ এবছর সকলের কথা ভেবে বিতরণ করেছে পুজো সামগ্ৰী। যার মধ্যে ছিল ইট,আমকাঠ,কুলো,কলার কাঁদি,শাড়ি,আটা,আখ,আলতা, সিঁদুর,টিপ ইত্যাদি।

যা পেয়ে ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ খুবই খুশি এবং উপকৃত। তাদের কর্মকান্ড এই পর্যন্তই থেমে থাকেনি। আজ অর্থাৎ ১০ নভেম্বর তারা আয়োজন করেছেন এলাকাবাসীদের জন্য নৈশ ভোজের। যার মধ্যে রয়েছে খিচুড়ি,আলুর দম,পায়েস। এছাড়াও ছিল ফুচকা, দইবড়া, পাপরি চাট, আইসক্রিম এবং কফির স্টল।

এ প্রসঙ্গে ধামাকা সংঘের সদস্য অনিল সাউয়ের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, “এ অঞ্চলের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে পুজো হয়। আর যেসকল মা-বোনেরা, দিদিরা পুজো করেন তারা একেবারেই নির্জলা উপোস করেন। ফলত পুজোর সমস্ত কিছু করার পর তাদের বাড়ির সদস্যদের জন্য রান্নাবান্না করা তাদের পক্ষে খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমরা আজ এই নৈশভোজের আয়োজন করেছি। যাতে তাদের কষ্টটা কিছুটা হলেও লাঘব করা যায়।”

অন্যদিকে ১৮ নং ওয়ার্ডের যে স্থানে ধামাকা সংঘ পুজোর আয়োজন করেছে সেই স্থান এবং সংলগ্ন অঞ্চলে প্যান্ডেল এবং আলোকসজ্জা চোখে পড়ার মতো। আর আজ সন্ধ্যায় সেখানে উপস্থিত হন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, কাঁচরাপাড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি খোকন তালুকদার, বিশ্বজিৎ পাল সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

ধামাকা সংঘের এই আয়োজন দেখে সকল নেতৃত্বরাই মুগ্ধ হয়ে যান।

এ প্রসঙ্গে এক ক্লাব সদস্য বলেন, “বিধায়কের উপস্থিতিতে আমাদের এই আয়োজন সার্থকতা পেয়েছে। অনেকেই ভাবতে পারেন আমরা হয়তো এই অঞ্চলের মানুষের থেকে চাঁদা তুলে এই আয়োজন করেছি। কিন্তু আসলে তা নয়। আমরা সকলেই নিজ উদ্যোগে এই আয়োজন করেছি এবং সকলের সহযোগিতা থাকলে আগামীতেও এই ভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়াবো।‌”

সব মিলিয়ে ধামাকা সংঘের এই আয়োজন যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে এলাকাবাসী তথা গোটা শহরে।