অবতক খবর,৩ আগস্টঃ কাঁচরাপাড়া হার্ণেট হাই স্কুলে চলছে ভর্তির প্রক্রিয়া। আর এই স্কুলে যে সকল ছাত্ররা সায়েন্স এবং আর্টস্-এ ভর্তি হচ্ছে, সেই সকল ছাত্র এবং অভিভাবকরা আজ স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান।

তাদের অভিযোগ, আর্টস এবং সায়েন্সে ভর্তি করার জন্য ১২০০-১৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যে ১ হাজার টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে তার কোন রশিদ দিচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।

তার পরিবর্তে ৫০০ টাকার একটি রশিদ তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে।
যারা আর্টস্-এ ভর্তি হচ্ছে তাদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা এবং যারা সায়েন্সে ভর্তি হচ্ছে তাদের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা নিচ্ছে স্কুল।
কিন্তু রশিদে লেখা থাকছে মাত্র ৫০০ টাকার হিসাব।
বাকি অতিরিক্ত অর্থ কেন নেওয়া হচ্ছে তার কোন জবাব দিচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এই অতিরিক্ত অর্থ স্কুল কেন নিচ্ছে তার জবাব দিতে পারলেন না অভিভাবকরাও।

তারা বলেন, করোনা এবং লকডাউনে বিপর্যস্ত তাদের জীবন। আর এইভাবে স্কুল তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে।
সেই কারণেই তারা আজ স্কুল চত্বরে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে জানান, স্কুলে পার্টটাইম যে শিক্ষকরা রয়েছেন, তাদেরকে মাইনে দেওয়ার জন্যই আমরা এই অতিরিক্ত অর্থ নিচ্ছি।

অন্যদিকে আজ আমরা সেখানে গিয়ে দেখলাম,স্কুলের বাইরের দেওয়ালের এক কোনায় লেখা আছে এই অতিরিক্ত অর্থ অনুদান বাবদ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই নোটিশ চোখে পড়েনি কারোরই।

এদিকে প্রধান শিক্ষক তিনি জানাচ্ছেন যে, পার্টটাইম শিক্ষকদের মাইনে দেওয়ার জন্য সেই টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অভিভাবকরা যদি না দিতে চান তবে আমরা জোরপূর্বক সেই অর্থ নেবো না।

অভিভাবকদের অভিযোগ, এই সমস্ত কোন কথাই আমাদের জানানো হয়নি। এই অতিরিক্ত অর্থের হিসাব সম্পর্কে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো রকম নোটিশ দেয়নি।
আমরা শুধু এটুকুই জানি, আর্টস্-এ ভর্তি হতে গেলে ১২০০ এবং সায়েন্সে ভর্তি হতে গেলে ১৫০০ টাকা করে লাগবে।

তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা সংবাদ পরিবেশনের পর নড়েচড়ে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এরপর তারা বলেন, দেওয়ালের কোনায় যে নোটিশ লাগানো ছিল অর্থাৎ যাতে লেখা রয়েছে অনুদান বাবদ এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে সেই নোটিশটি আমরা সামনের দিকে লাগাবো।
যে বা যারা এই অর্থ দিতে চাইবেন না,তাদের থেকে নেওয়া হবে না।

তবে এখন অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রত্যেকের কাছ থেকে যদি ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়, তাহলে এত টাকা তো সব বেআইনিভাবে নেওয়া হচ্ছে?
স্কুল কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিভাবে এই টাকা আদায় করতে পারে?
কার নির্দেশে এই টাকা আদায় হচ্ছে? আর কেনই বা হচ্ছে? কার পকেটে ঢুকবে এই বেআইনীভাবে আদায় করা টাকা?

অভিভাবকরা আরো বলেন, ১২০০-১৫০০ টাকা নিয়ে মাত্র ৫০০ টাকার রশিদ হাতে ধরিয়ে দিলে,তা তো আমরা মেনে নেব না।

এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ দু’রকম কথা বলছে সেই নিয়েও ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিক্ষোভকারী অভিভাবকরা।