অবতক খবর,১৮ নভেম্বরঃ দীপন দত্তকে এক ডাকে হালিশহরের মানুষ চেনেন। বীজপুরের রাজনীতিতে অন্যতম একজন নেতৃত্বের নাম দীপন দত্ত।

এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। দীপন বাবু চার বছর কাঁচরাপাড়া কলেজের গভর্নর বডি(জিবি) মেম্বার ছিলেন। কাঁচরাপাড়া কলেজের ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁকে এবার সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। চিত্রে যে স্মারকটি দীপন বাবু হাতে ধরে আছেন সেটি দিয়েই তাঁকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়েছিল কলেজের পক্ষ থেকে। কিন্তু শুনে আপনারা আশ্চর্য হবেন যে,এই স্মারকটি উধাও হয়ে গেছে কলেজ থেকে। এখন প্রশ্ন,স্মারকটি গেল কোথায়? আজ ১৮ই নভেম্বর,দীপন বাবু সংবর্ধনা পেয়েছিলেন চলতি মাসের ১০ তারিখে।

এই স্মারকটি আজ পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে পৌঁছালো না। কারণ সংবর্ধনা প্রদানের সময় কাঁচরাপাড়া কলেজের সাধারণ সম্পাদক সৌগত ঘোষ তাঁকে বলেছিলেন যে,’এই স্মারকটি আমরা রেখে দিচ্ছি। পরবর্তীতে আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেবো।’

কিন্তু ৮ দিন কেটে গেলেও দীপন বাবুর পাওয়া সম্মান অর্থাৎ সেই স্মারকটি তিনি পেলেন না।

স্মারকটি গেলো কোথায়? নাকি দীপন বাবুকে ইচ্ছাকৃতভাবে অসম্মান করা হচ্ছে? তবে কি সেই স্মারকটি অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হলো?

সূত্রের খবর, যে স্মারকটি দিয়ে দীপন বাবুকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল সেই স্মারকটি দেখা গেছে কাঁচরাপাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্যাণ করের কাছে।

তাহলে বিষয়টি দাঁড়াচ্ছে যে, এত অর্থকড়ি খরচ করে কাঁচরাপাড়া কলেজের ৫০ তম বর্ষপূর্তিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হলো, আর সেখান থেকে সামান্য একটি স্মারক উধাও হয়ে গেল!

প্রশ্ন উঠেছে, স্মারকটি চুরি হলো? নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হলো? নাকি সামান্য এই স্মারকটি কেনার পয়সা ছিল না কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে, যার জন্য অন্য কাউকে সেই স্মারক দিয়ে সম্মান জানিয়ে কাজ চালাতে হলো??