অবতক খবর,২৬ জুন :: সিপিএম রাজনৈতিক দল হিসেবে একসময়ে কাঁচরাপাড়ায় লাল দুর্গ তৈরি করেছিল একথা সর্বস্বীকৃত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমফান এবং বিশ্ব মহামারী করোনাকে কেন্দ্র করে যে ব্যাপক জনসংযোগ ঘটিয়ে রাজনৈতিক সুবিধাটি নেওয়া উচিত ছিল যে রাজনৈতিক দলের সেটি সিপিএম কি নিতে পেরেছে? এই নিয়ে সিপিএম সমর্থক এমনকি সিপিএম সদস্যদের মধ্যেও আলোচনা হচ্ছে।

বামমনস্ক মানুষের মতে পার্টি এই যে সুযোগটি, এই যে মুহূর্তটি পেয়েছে তার সদ্ব্যবহার করা উচিত ছিল। এই করোনা এবং আমফানে খাদ্য সামগ্রী অর্থাৎ ত্রাণ সামগ্রী বিভিন্ন অঞ্চলে সিপিএম দল ও বিভিন্ন শাখা ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠন হিসেবে, শ্রমিক সংগঠন হিসেবে বন্টন করেছে এটা সত্য। তাতে জনমনে সাড়া জেগেছে,চাঞ্চল্য জেগেছে, একথাও সত্য। কিন্তু কোন রাজনৈতিক আশার আলো কি সিপিএম দেখাতে পেরেছে?

কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে যে অভাব-অভিযোগগুলোর কথা উঠছে সেই বিষয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে সিপিএমের ভূমিকা কি? সিপিএম সে ব্যাপারে সক্রিয় ময়দানে নেই কেন? ত্রাণ সামগ্রী বিতরণেই জনসংযোগ শেষ হয়ে যাবে? এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বর্তমান অবস্থায় শাসক দল তৃণমূল যে সমস্ত ভুলভ্রান্তি করছে, সেগুলো ব্যাপক প্রচার হচ্ছে না কেন? এবং এই তো সুযোগ লকডাউনের পিরিয়ডে সোস্যাল ডিসট্যান্সিং মেনটেন করে দু চারজন বা চার পাঁচ জন কর্মী নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে জনসংযোগ করা উচিত ছিল তা সিপিএম করল না কেন,এই নিয়েও বামপন্থী সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

তাদের যে ওয়ার্ড ভিত্তিক ইউনিট বা সংগঠন রয়েছে,তারা কেউই করোনা সংক্রান্ত যে মাস্ক,যে স্যানিটাইজার তারা বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর কোন কর্মসূচি গ্রহণ করেননি। বামপন্থী সমর্থকরা মনে করছেন এই ভূমিকাটি শাসকদলও নেয়নি। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বাড়ি বাড়িতে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত ছিল।

আরও উচিত ছিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মীরা যদি নিজেরা স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করতে পারতেন, তাহলে জনমনে অনেক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারত। কারণ আগে যখন দল রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল তখন কোন না কোনো বাহানায় দ্বারে দ্বারে গেয়ে জনসম্পর্ক  করা হত কিন্তু এখন যখন দলকে সংগঠিত করার প্রয়োজন তখন তাদের কোনো তেমন কর্মসূচি নেই। তাই প্রশ্ন উঠেছে যে বামপন্থীরা রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়েছেন ঠিক কিন্তু এখন কি তারা মানসিক ভাবেও কি দেউলিয়া হতে গেলেন ?