অবতক খবর,১৭ নভেম্বরঃ ১৬ই নভেম্বর পুনর্বাসনের দাবিতে পথে নামে কাঁচরাপাড়ার হকাররা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গান্ধী মোড় থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত যে ডিভাইডার ছিল তা কিছুদিন আগেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই ডিভাইডারের দুই ধারে অস্থায়ীভাবে বসত কিছু হকাররা। তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে ওই ডিভাইডার ভেঙে ফেলা হয়। কারণ ওই ডিভাইডার এবং হকারদের কারণে ওই রাস্তায় অত্যন্ত যানজট হত। সারাদিন ওই রাস্তার এমন অবস্থা থাকতো যে, একটা অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত যেতে পারত না। ডিভাইডার ভেঙে দেবার পর রাস্তাটি এখন অনেকটাই চওড়া হয়েছে এবং যানজটও কম হয়। আর এতে খুশি কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীরা।

১৬ নভেম্বর ওই অস্থায়ী হকাররা,বলা ভালো অস্থায়ী মহিলা হকাররা তাদের পুনর্বাসনের দাবিতে পথ অবরোধ করেন।

কিন্তু এখন প্রশ্ন যে, এত মহিলা হকার এলো কোথা থেকে? সেখানে তো দেখা গিয়েছিল অনেক পুরুষ হকারও ছিল। তারা কেন এই আন্দোলনে সামিল হননি? পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল সেখানে ৬০-৭০ জন হকার ছিল। কিন্তু সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০ জনে। সংখ্যাটা হঠাৎ কিভাবে বেড়ে গেল?

এখানে আরো একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়, এই হকাররা যখন ডিভাইডারের আশেপাশে বসেছিল তখন তো কারোর অনুমতি তারা নেয় নি। তবে এখন পৌরসভার কাছে কি করে পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছেন তারা? এই প্রশ্ন কিন্তু তুলে দিয়েছেন কাঁচরাপাড়ার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে ওই অঞ্চলে হকাররা এমনভাবে জাকিয়ে বসেছিল যে রাস্তার এইপার থেকে ওইপারের কিছু দেখা যেত না। ওই সংকীর্ণ রাস্তায় মানুষের চলাফেরা দায় হয়ে গিয়েছিল। ‌

ব্যবসায়ীরা বলছেন যে, ওই হকাররা ট্যাক্স ইলেক্ট্রিক বিল কিছুই দিতে হতো না। কিন্তু আমরা ট্যাক্স, ইলেকট্রিক বিল এবং ব্যবসা করতে গেলে যা যা করণীয় অর্থাৎ যা নিয়ম রয়েছে সব নিয়ম মেনেই ব্যবসা করি। এই ডিভাইডার ভাঙ্গা এবং হকার সরে যাওয়ায় অত্যন্ত খুশি কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীরা এবং তারা পৌরসভাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।