অবতক খবর,অঞ্জন শুকুল,নদীয়া: নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্ত লাগোয়া গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম তালদহ।এই গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পি এইচ ই জলের বিশাল ট্যাঙ্কার রয়েছে। বছর চারেক আগে মহা ধুমধাম করে গ্রামের মানুষের সুবিধার জন্য বসানো হয়েছিল জলের ট্যাপ লাইন। ফলে গ্রামের বাসিন্দারা আর্সেনিক আক্রান্ত হতে, নীজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে গ্রামের বাসিন্দারা নির্ভরশীল হয় ঐ জলের ওপর।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ঢাক ঢোল পিটিয়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নেওয়া হয়। স্বভাবতই সকলকে চমকে দিয়ে বাড়ি বাড়ি জলের লাইন পৌঁছে যায়। ফলে এলাকাবাসী সরকারের ঘোষিত কর্মসূচির প্রসংসা করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভোটের আগে জল আসলেও, ভোট মিটে যাবার পর কারো বাড়িতে জল আসছে না। ফলে গ্রামের বাসিন্দারা হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। গ্রাম বাসীরা স্হানীয় বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে বারবার দরবার করেছেন কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

ফলে গ্রামবাসীরা নদীয়ার ডি এম, রাজ্যের মন্ত্রী এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানান। যেমন বলা তেমনি কাজ,উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দেশ আসায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ফলে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাদের সে আশা যে অমুলক তার প্রমাণ পেল কৃষ্ণনগর থেকে জল দপ্তরের আধিকারিকরা পৌঁছে গেলেন গ্রামে। আশ্বাস দিলেন বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেবার। কিন্তু বাস্তবে কোন কিছুই হয়নি। এটা ছিল শুধু কথার কথা। এলাকাবাসীরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী তখন বলছেন কোন অফিস ঠিকমতো কাজ না করলে আমায় জানান, অথবা এলাকার আধীকারীককে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েই যদি কাজের এই দশা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কি দুর্দশা হতে পারে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ এটি।গ্রামের বাসিন্দা পরিমল বোস বলেন, ৬০০ পরিবার জল কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও এই ছবি সকলকে বেদনা দেয়।তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অঞ্জলী সদ্দার বলেন, এই সমস্যার কথা প্রধান,বিডিওকে বারবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও কোন কিছু না হওয়ায় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন। মাসাধিককাল ধরে ট্যাপ কলের পানীয় জল শূন্য অবস্থায় রয়েছে। গ্রামবাসীদের জল কষ্টের ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। জলের যে ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিয়েছে তা অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন।এখন সকলের নজর জল আসবে কবে?