অবতক খবর,২৫ আগস্টঃ বুধবার রাতে দুটি গাড়িতে করে ইডি আধিকারিকেরা কল্যাণী বিএসএফ ক্যাম্পে আসেন। তারপর আজ সকালেই ইডির একটি গাড়ি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং একটি গাড়ি পলাশীপাড়ার উদ্দেশ্যে। ঠিক কী কারণে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকেরা পলাশীপাড়ার দিকে যান তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘোড়াই ক্ষেত্র গ্রামে মানিক ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটেতে তালা ঝুলছে। গ্রামে তাঁর হদিশ নেই। এমনকি মানিক ভট্টাচার্যের মোবাইলে ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। একেবারে সপরিবারে বেপাত্তা প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।

তাই এবার ইডি গোয়েন্দারা পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন এবং সেই কারণেই সেখানে যান বলে সূত্রের খবর।

প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির খোঁজ পেতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এবার কড়া আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছেন এবং সেজন্যই তাঁরা হাইকোর্টে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেবল মানিক ভট্টাচার্যের লুক আউট নোটিশ জারি করারই ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে নাকি আরও কড়া কোনও পদক্ষেপ করা হবে? এমনই প্রশ্ন উঠছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দারা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছেন।

ইডির আরেকটি দল প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি তথা পলাশীপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটে ঘোড়াই ক্ষেত্র গ্রামে গিয়ে তাঁর খোঁজ-খবর শুরু করেছেন। যদিও আশপাশের লোকজন কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না। তবে বাড়িটি তালাবন্ধ থাকলেও যেরকম পরিপাটি রয়েছে তাতে নিশ্চিত, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি এই বাড়িতে থাকতেন। গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাস খানেক আগেও মানিক ভট্টাচার্য পরিবার নিয়ে তাঁর পৈতৃক ভিটেতে থাকতেন। তবে তিনি ঠিক কবে বাড়ি ছেড়েছেন, কোথায় গিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি প্রতিবেশীদের।