আবতক খবর,দেবাশিস মালিক,নরেন্দ্রপুর:-  এই করোনাকালে উচ্চস্বরে বক্স বাজানোর প্রতিবাদ করায় নার্সিং স্টাফকে ঘর ছাড়া করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় কাউন্সিলর রঞ্জিত মন্ডল ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজপুর সোনারপুর কর্পোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড, নরেন্দ্রপুরের কাদারহাট এলাকাই । অভিযোগ, পেশায় এন আর এস হাসপাতালের নার্সিং স্টাফ মিঠু দাস এলাকায় উচ্চস্বরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করে। এরপরে মিঠু দাস ও তার পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। ভয়ে আতঙ্কে তারা এখন ঘরছাড়া। ঘটনার সূত্রপাত, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন। ওইদিন উচ্চস্বরে বক্স বাজাচ্ছিল স্থানীয় বেশ কিছু যুবক , এরপর মিঠু দাস এর প্রতিবাদ করেছিল। কারণ তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র তার ছেলে ও প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী তার মেয়ে অনলাইনে তাদের ক্লাস চলছিল। মিঠু দাসের উপর চড়াও হয়, তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ।

এরপর ওই প্রতিবাদী মিঠু দাস গোটা ঘটনা নরেন্দ্রপুর থানায় গিয়ে জানালে ১৯ তারিখ পুলিশ এসে যুবকদেরকে সাবধান করে যায়। ২০ তারিখ রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ওই যুবকের দল স্থানীয় কাউন্সিলর রঞ্জিত মন্ডলকে সঙ্গে নিয়ে মিঠু দাসের বাড়িতে আসে। আবারও তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং কাউন্সিলার নিজে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপর মিঠু দাস ও তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পুলিশকে জানালে , নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত মিঠু দাস ও তার পরিবার। মিঠু দাস তার স্বামী ও সন্তানদেরকে নিয়ে এই মুহূর্তে ঘর ছাড়া, তারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। থাকার জায়গা ঠিক করে উঠতে পারেনি। তবে তারা এন.আর.এস. হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে সেখানেই আপাতত থাকবেন বলে জানিয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির অন্যতম যোদ্ধা নার্সিং স্টাফরা তাদের সঙ্গে এই ব্যবহার! শহর কলকাতা আজ বড়ই অমানবিক , তারই সাক্ষী নরেন্দ্রপুরের কাদারহাট ।