অবতক খবর,২৬ অক্টোবর: অষ্টমী এবং নবমীর দিন কাঁচরাপাড়ার কয়েকটি পুজো মণ্ডপে যেভাবে ভিড় দেখা গেল তাতে করোনাকে কি কোলে তুলে নিতে চাইছে কাঁচরাপাড়া? অথবা কাঁচরাপাড়া করোনাকে কি তার কোল দিতে চাইছে কিনা সে ব্যাপারে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ‌ ইতিমধ্যেই কল্যাণী সেন্ট্রাল পার্কের যে ভিড় তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে , করোনা সংক্রান্ত বিধিকে মান্যতা দেবার যে নির্দেশ জারি করেছিলেন মহামান্য হাইকোর্ট,তাতে ভিড়ের প্রাবল্য কমলেও এই নিয়ম নীতি অনেক জায়গাতেই উপেক্ষা করা হয়েছে।

কাঁচরাপাড়া অষ্টমী এবং নবমীর দিন রাস্তাজুড়ে দেখা গেছে, যে সমস্ত মাতৃপ্রেমীরা পথে বিচরণ করছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের মুখে মাস্ক নেই এবং এই বিষয়ে প্রশাসনিক কোনো তৎপরতাও দেখা গেল না।

রাস্তায় পুলিশি টহল ছিল। সিভিক পুলিশরা পাহারায় ছিলেন। কিন্তু এই দর্শনার্থীদের কেউ সতর্ক করেননি। পুলিশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

অন্যদিকে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। এই খবর পাওয়া গিয়েছে। কাঁচরাপাড়াতে ইতিমধ্যেই ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এত প্রচার সত্বেও জনসচেতনতা তেমনভাবে বেড়েছে কিনা সন্দেহ। তার চেয়েও বড় কথা প্রশাসনিকভাবে তৎপরতা তেমন দেখা যায়নি। যদিও ব্যারাকপুর সিপি কাঁচরাপাড়া পরিদর্শন করে গিয়েছেন, বিভিন্ন পুজো মন্ডপ দেখভাল করে গিয়েছেন। মনে হয়েছিল ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু দেখা গেল যে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো।

ইতিমধ্যেই কল্যাণী বীজপুর অঞ্চলের শাসকশ্রেণী পুষ্ট কয়েকজন নেতা ঘোষণাই করেছেন মাতৃ আরাধনায় নেমেছি,আরাধনা করব। হাইকোর্ট যা পারে করে নিক। যে সমস্ত প্যান্ডেলগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, দেখা গেছে সেই সমস্ত ক্লাবগুলি রাজনৈতিকভাবে শাসকদলের আশ্রয়পুষ্ট।