অবতক খবর, ৩০ আগস্টঃ মৃত্যুকালে সম্মান পেলেন না অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য নারায়ণ চক্রবর্তী, তাঁর মরদেহে লাল পতাকা দেওয়াই হল না। লাল পতাকা ছাড়াই তার মরদেহ বাড়ি থেকে সোজাসুজি চলে গেল হালিশহর শ্মশান ঘাটে।

নারায়ণ চক্রবর্তী কাঁচরাপাড়ার কমিউনিস্ট পার্টিতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। তিনি আজ কার্ডিয়াক ফেইলিওয়রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন, কারণ কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। তিনি আজ প্রয়াত হন।

কাঁচরাপাড়ার ছাত্র আন্দোলন একটি উল্লেখযোগ্য নাম নারায়ণ চক্রবর্তী।১৯৬৬ সালে যে খাদ্য আন্দোলন, যে খাদ্য আন্দোলনের ভিত্তিতে ৩০ বছরের কংগ্রেসী অপশাসনের পতন ঘটে,সেই খাদ্য আন্দোলনে তিনি এই অঞ্চলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ‌তিনি প্রবাহ সংগঠনের একটি উল্লেখযোগ্য কান্ডারী ছিলেন। কাঁচরাপাড়া উৎসব আয়োজনে বাবলু রক্ষিতের পাশে তাঁর নামও উল্লেখযোগ্য।

তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সম্পাদক ছিলেন এবং উল্লেখযোগ্য ভাবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য,অধ্যাপক শৈবাল মিত্রের মত ছাত্র নেতাদের সঙ্গে তাঁর সান্নিধ্য ছিল।

আজ তাঁর মরদেহে মাল্যদান করেন কাঁচরাপাড়ার পক্ষে শম্ভু চ্যাটার্জী,হাবলি সরকার, মেঘনাদ মল, বাবু মুস্তাফি হালিশহরের পক্ষ থেকে দুলাল ঘোষ,পার্টির পক্ষ থেকে মাল্যদান করেন দেবর্ষি সোম,অরিন্দম রায়।

কিন্তু তার মরদেহ পার্টি অফিসে আনা হয়নি। অর্থাৎ মৃত্যুকালে রাজনৈতিকভাবে যে সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা তিনি অর্জন করেছিলেন সেটি পেলেন না।

কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাসে এইসব ঘটনার লজ্জার।
তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম অর্থাৎ পুত্ররা তাঁর পিতার মরদেহ পার্টি অফিসে আনতেই চাননি বলে জানা যায়।
কারণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে তিনি পার্টির পক্ষ থেকে অপমানিত হয়েছেন।

প্রবাহ ক্লাবের সঙ্গে তিনি শেষ পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন। তবে সেই সংগঠনেও শেষ পর্যন্ত তিনি সেভাবে মর্যাদা পাননি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।