করোনা এসেছিল তাই, লক ডাউন হলো ভাই। পরিযায়ী শব্দটি যদিও উড়ে এলো বাতাসে, কিন্তু বিদ্যুৎবাহী কোনো কালবৈশাখী ঝড় অদৃষ্ট পরিবেশে।

ঐতিহাসিক
তমাল সাহা

নিজের রাজ্যে কাজ পায় না কেন?
কেন মজুর পরিযায়ী?
এই প্রশ্ন তুলতেই আমার ভয়,
আমি কি হব অভিযুক্ত,
ক্রমান্বয়ে দায়ী?

প্রশ্ন তোলে না সস্তার মজুর,
জীবন তো তার খোলামকুচি।
আমরা শুধু অক্ষর সাজাই—
মৃত্যুর কথাই লিখি,
তাদের জীবন কতটা বুঝি?

দিবস দিবস খেলা করি,
কত রকম দিবস আসে যায়।
শেষপর্যন্ত এক একটি দিবস মিলিয়ে যায়।
সুরে তালে গাই কত রবীন্দ্র গান—
হাঁটতে হাঁটতে দীর্ঘ পথ,
কত আনপড় ফালতু জীবনের অবসান।

যেন এ এক নয়া প্রতিযোগিতা,
উত্তেজক এক দৌড় ম্যারাথন!
কে কত মাইল হাঁটতে পারে,
এ তার রহস্যময় কথন।

হাঁটতে হাঁটতে কে কত আগে মরতে পারে—
এ এক অদ্ভুত জীবন যুদ্ধ।
আমরা দর্শকমাত্র,
হাততালি দিতে থাকি অবিরত,
কোনমতেই হইনা ক্রুদ্ধ।

ক্লান্ত অবসন্ন মজুর মানুষ নাকি!
পথশ্রমে মরে,লরি চাপা পড়ে মরে, ট্রেনে চাপা পড়ে মরে, ট্রাক উল্টে মরে– মরুক।
শালারা অশিক্ষিত উজবুক!

মজুরে ‘ম’ আছে,মৃত্যুতে ‘ম’ আছে
সুতরাং মরাটাই স্বাভাবিক।
বড় বড় অক্ষরে ছাপা হবে খবর,
জীবন নয়, মৃত্যুই এই দেশে ঐতিহাসিক।