অবতক খবর , অভিষেক দাস , মালদাঃ-  প্রয়োজনে মানুষ ডাক্তার পাবে না, পুলিশের সাহায্য পাবে না এরকম সরকার কেউ চাই নি । মানুষ চেয়েছিল একটা পরিবর্তন। দীর্ঘদিনের বাম সরকারের অপশাসন। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূলের যা করেছে তাতে মানুষের হয়রানি বরঞ্চ বেড়েছে, সুবিধা কিছুই হয় নি। মঙ্গলবার সকালে মালদায় চায় পে চর্চায় ফের আরও একবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তবে এদিন অদ্ভুতভাবে তৃণমূলের মালদার কার্যকরী সভাপতি তথা দৌ’দণ্ড প্রতাপ নেতা বাবলা সরকারের অনুগামী অনন্ত চক্রবর্তী আচমকাই দিলীপ ঘোষের সামনে বিজেপিতে যোগদান করেন। এমনকি যোগদান করেন তৃণমূলের আর আরেক চিকিৎসক সংগঠনের নামকরা ডাক্তার দেবাশীষ সরকার।যা নিয়ে জেলা জুড়ে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
তৃণমূলের জেলার কো-অর্ডিনেটর তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বাবলা সরকারের ঘনিষ্ঠ অনন্ত চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগদান নিয়ে নানান রকম চর্চা শুরু হয়েছে।  এরপরে বাবলাবাবু নিজেই এই পথেই কি এগোতে পারেন এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে মালদা শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায় চায় পে চর্চা রীতিমতো ছোট মঞ্চ করেই দিলীপ ঘোষকে বক্তব্য রাখার জন্যই অনুরোধ জানান দলীয় নেতাকর্মীরা। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল।
এদিন চাই পে চর্চায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,  প্রকৃতির নিয়মে সবকিছুরই পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমনটা এ রাজ্যে হয়েছিল। ৩৪ বছরের বাম সরকারের অপশাসনকে ছুঁড়ে ফেলেছিল রাজ্যের মানুষ। তখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। এতে দিদিমনির কোন কারিশমা নেই । যা কারিশমা ছিল রাজ্যের মানুষের। ভালো কিছুর আশায় পরিবর্তন চেয়েছিলেন । কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল আসার পর কোনো সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষ পাই নি। পেয়েছে শুধু এক শ্রেণীর পেটুয়ারা ।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলে বেরিয়েছেন এত লক্ষ লোককে চাকরি দিয়েছি। কিন্তু এর জবাব মানুষই দেবে। কেউ বলতে পারবে তৃণমূল সরকার কত জনকে চাকরি দিয়েছে। কে কি সুবিধা পেয়েছে। সবটা ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। যদি বেকার ছেলে মেয়েরা চাকরি পেয়ে থাকে সেটা গুজরাটে পেয়েছে, দিল্লি ,মহারাষ্ট্র হরিয়ানাতে পেয়েছে। বাংলায় পাই নি । কাজেই এবার আর তৃণমূলের পালে হাওয়া নেই । সব কিছুরই পরিবর্তন নিয়মের সঙ্গে যেমন হয়, সেভাবেই এবারও বাংলাতেও পরিবর্তন অবধারিত । মানুষ এই বাংলার তৃণমূলের অপশাসনকে সরিয়ে দিয়ে এখন পরিবর্তন চাইছে।