অবতক খবর,১৭ নভেম্বরঃ গতকাল নওদা থেকে বহরমপুর আসার পথে এমপির গাড়িতে একটি শিশুর মৃত্যু হয়, সে ব্যাপারে অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন একটি ছয় বছরের বাচ্চা মারা গিয়েছে এটি খুব হৃদয়বিদারক ঘটনা এই ঘটনায় অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করেন।

তিনি এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে বলেন আমাদের সকলেরই উচিত গাড়ি বাইক সতর্ক ভাবে চালানো, কারণ একটাই পশ্চিমবঙ্গে যে জনবসতি যে ঘনত্ব এবং যা জনসংখ্যা তার তুলনামূলকভাবে রাস্তা আমাদের নাই যার ফলে দৈনন্দিন এরকম দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। তিনি বলেন এই ব্যাপারে ড্রাইভারদের সতর্ক হতে হবে শুধু ড্রাইভার সতর্ক হলে হবে না পথচারীদেরও সতর্ক হবে পথ চলতে হবে বলে তিনি জানান। এই সতর্কতার অভাবে একটি বাচ্চা ছেলের মৃত্যু গতকাল হয়ে গেল তিনি বলেন তার মায়ের কান্না টিভিতে দেখাচ্ছিলো খুব হৃদয়বিদারক ঘটনা, একটি শিশু আমাদের গাড়ি চালানোর ভুলে হোক শিশু সতর্কতার অভাবেই হোক, শিশুতো সতর্ক থাকে না, সুতরাং আমাদের বুঝতে হবে এই বাংলায় এই একটি ঘটনায় ঘটছে না, গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা বাংলায় দিনের পর দিন বাড়ছে বলে জানান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন এর কারণ একটাই রাস্তাঘাটের পরিকাঠামো। তার সঙ্গে জনবসতি বা জনসংখ্যা সমানভাবে এ বাংলায় রক্ষা হয় না। তাই দিদির যতই বলুক না কেন সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ এগুলো কথার কথা তিনি বলেন এই কথায় কোন কাজ হচ্ছে না, তার একটাই কারণ এখানে মটরভিকেলস কে ঘুষ দিলেই লাইসেন্স পাওয়া যায় যে কোন লাইসেন্স পেতে পারি সে গাড়ি চালাতে পারলো কি পারলো না শুধু টাকা দিলেই কোন পরীক্ষা দিতে হয় না যার ফলে এই ধরনের ড্রাইভার প্রচুর শহরের বুকে ছড়িয়ে আছে।

তিনি আরো বলেন এখানে ট্রাফিক ব্যবস্থা বলে কিছু নাই রাস্তায় যদি ট্রাফিক ব্যবস্থা চাঙ্গা না থাকে তাহলে দুর্ঘটনা তো বাড়বেই, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বলেন ট্রাফিক ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গে ভেঙে পড়েছে তার কারণ ট্রাফিক ব্যবস্থার পরিকাঠামোর পাশাপাশি স্টাপও নাই বেশিরভাগ জায়গায় তাই সিভিকদের দিয়ে ট্রাফিক চালানো হচ্ছে যাদের কোন রোড সেন্স নাই যাদের কোন ট্রেনিং নাই ফলে সব মিলিয়ে এই বাংলায় পথ দুর্ঘটনা দিনের পর দিন বাড়ছে।

তিনি বলেন আমরা রাস্তায় যখন বেরোয় তখন লক্ষ্য করি মোটরসাইকেল চালানোর সময় টোটো চালানোর সময় অটো চালানোর সময় গাড়ি চালানোর সময় নিয়ম-কানুন বিধি কিছুই মানা হয় না বললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।