অবতক খবর,২২ সেপ্টেম্বর: এগরা পটাশপুর ভগবানপুর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এগরা ২ ব্লকে সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র প্রশাসনিক বৈঠক ও সাংবাদিক সম্মেলন হয়।
সৌমেন বাবু ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আমগেছিয়ায় কেলেঘাই নদী ভাঙার ফলেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা যদি আমগেছিয়া বাঁধকে বেঁধে দিতে পারি তবে বন্যার প্লাবিত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তবে ফের বৃষ্টিপাত হলে তবে আশঙ্কা নতুন করে তৈরি হতে পারে।
পনেরো দিনের মধ্যে ১৭০০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদীর জলধারনের যে সীমা থাকে তা পার করে গিয়েছে। যাঁর কারনে আমগেছিয়ার কাছে ভেঙে যাওয়ার ফলে পটাশপুর দুটি ব্লক, এগরা দুটি ব্লক সহ বিভিন্ন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। অবৈধ ভাবে গজিয়ে ওঠা মাছের ভেড়ি ও ইটভাটার কারনেই জলনিকাশী ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে তা এক প্রকার অকপটে স্বীকার করলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। কেলেঘাই, কংসাবতী, রুপনারায়ন সব মিলিয়ে এক প্রকার প্লাবিত পূর্ব মেদিনীপুর তবু বন্যা কবলিত জেলা ঘোষিত হচ্ছে না, এমনটা অভিযোগ বিরোধীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বন্যা হলেই যে ঘোষণা করতে হবে তাঁর কোনো মানে নেই বরং মানুষের পাশে থেকে তাঁদের রক্ষা করাই মূল কাজ। তবে বিরোধীদের একাধিক অভিযোগ নসাৎ করে তিনি বলেন আমগেছিয়ায় সেচ দপ্তর রয়েছে ঠিকই তবে তা এখন জলের তলায়, কিন্তু ভগ্নপ্রায় নয়, ওখানে দপ্তরের কর্মীরা কাজ করছেন। কেলেঘাইয়ের জল ও অতি বৃষ্টির ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ট্রেড লাইসেন্স সরকার থেকে ইসু হয়নি। উচ্ছেদ করা হয়নি, লোভ দিখেয়ে রেখেছে কেন্দ্র। তাঁর লোভে পড়ে অবৈধ ভাবে কাজ করেছে তাঁরা। উচ্ছেদ করতে গেলে একটা আইনের প্রয়োজন আছে, সেটা নিয়েও আমরা আলোচনা করছি। আমাদের দপ্তর থেকে একটা রুপরেখা তৈরি করে তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছি।