অবতক খবর , নদীয়া :      করোনা আতঙ্কে দিশাহীন জনমানব, এলোমেলো হয়ে গেছে সবকিছু। বিভিন্ন পূজো পার্বণের উৎসব হয়েছে ম্লান! তারমধ্যে আজ একই দিনে জন্মষ্টমী এবং বীরশহীদ ক্ষুদিরামের ১১২ তম মৃত্যু দিবস। মাত্র১৮ বছর ৮ মাস ৮ দিনের জীবনদশায় অমর হয়ে থাকবেন ইতিহাসের পাতায়।

ক্ষনিকের এই জীবনে মেদিনীপুরের সন্তান ক্ষুদিরাম বসুকে জানতে গেলে হয়তো সম্ভব হবে না এক জীবনে। মা লক্ষীপ্রিয়া দেবী ইংরেজদের অত্যাচারে দুই পুত্রকে হারিয়ে দুই মুঠো চালেরক্ষুদের বিনিময়ে বোনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন এই পুত্র কে বাঁচানোর জন্য, তাই তার নামকরণ হয় ক্ষুদিরাম বসু। জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে অন্যান্য বছর পালিত হতো এই দিন টা। কিন্তু এবছর হয়তো জন্মাষ্টমীর কারণেই অনেকটাই হয়েছে ম্লান। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ। ক্লাব বা সংগঠনের পক্ষ থেকেও খুব বেশিদেখা গেলো না তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে কোনো আয়োজন। তবে বাড়িতে বসে অনেকেই স্মৃতিচারণা করেছেন তাঁর।

দুর্ভাগ্যক্রমে শান্তিপুরে কোন আবক্ষ মূর্তি না থাকায় নবজাগরণ সংস্থার পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করা হয়। তবে শহর থেকে অনেকটাই দূরে পৌঁছে গিয়ে শান্তিপুরের হারমনিকা শিল্পী শাওন পাল বীর শহীদের সম্মান জানাতে মাউথ অর্গানের ফুটিয়ে তুললো সেই বিখ্যাত গান “একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি”।