অবতক খবর,১৪ এপ্রিল,মলয় দে,নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুরের গত চার দিনে গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে গেছে তরতাজা তিনটি প্রাণ। গত 10 ই এপ্রিল শান্তিপুর 2 নম্বর রেল গেট সংলগ্ন এলাকার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আকাশ সরকার এবং রোহন বিশ্বাস স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায় স্টিমার ঘাটে। যা মৃতদেহ উদ্ধার সম্ভব হয় দুদিন বাদে। গতকাল বড়বাজার ঘাটে মায়ের সাথে নীল পূজার স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায় রথ তলার বাসিন্দা 24 বছরের সৌভিক দত্ত।

একের পর এক মৃত্যুর কারণে, পৌরসভার রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিশেষ সতর্কতা মূলক বিজ্ঞপ্তি না থাকার কারণে উঠেছে প্রশ্ন। তবে দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিধায়ক এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিবারবর্গের পাশে থাকতে দেখা গেছে। চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, প্রথম দু জন ছাত্রের মৃত্যুর পরেই শান্তিপুরের সমস্ত গঙ্গার ঘাটে বিপদজনক জায়গা চিহ্নিত করন করার কাজ শুরু হয়েছিলো, কিন্তু তারই মধ্যে আবারও যে বিপদ ঘটবে তা একেবারেই অনভিপ্রেত।

তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যানার এবং ঘাট সংলগ্ন এলাকার বিপদজনক স্থান চিহ্নিত করে তা বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে গতকালকেই আজ তা খতিয়ে দেখতে এসেছি। চৈত্র সংক্রান্তি এবং পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণে পুণ্যার্থী স্নানের ঘাটে এসে পৌঁছাবেন আজ এবং আগামীকাল, তাদের উদ্দেশ্য চেয়ারম্যানের অনুরোধ, তারা যেন নির্দিষ্ট ঘাটেই স্নান করেন, অন্য কোথাও নয়।পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে গঙ্গার ঘাটে মহিলাদের স্নান সেরে কাপড় পরিবর্তনের অস্থায়ী বেশকিছু ছোট ঘর তৈরি করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার টিম এবং শান্তিপুর থানার পক্ষ থেকে থাকছে বিশেষ পর্যবেক্ষক দল এবং ডুবুরি। স্থানের ঘাটে যত্রতত্র পরিত্যক্ত খেলার বিষয়ে কড়াকড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পৌরসভা।