ভারতবর্ষে এখন বড় একশো-র প্রয়োজন। পরীক্ষার পেতে হবে একশোতে একশো। ধর্ষণচলাকালীন মনে রাখতে হবে একশো…

একশো
তমাল সাহা

টার্গেট রাখো একশো—
একের পিঠে দুটো শূন্য।
লক্ষ্মীছাড়া মেয়ে!
মনে থাকে না তোর
একশো! একশো!

একশো তোকে চাঁদমারি করতেই হবে,
না হলে কি হবে এই জীবনের?
তোকে তো জন্ম দিলাম
একশোর জন্যই—
একশো! একশো!

জীবন জুড়ে চাহিদা একশো
একশোর কী সুগভীর পরামর্শ!
মায়ের ইচ্ছা,বাবার ইচ্ছে
পরীক্ষায় পেতেই হবে একশোতে একশো।
ধর্ষকেরা তোকে ঘিরে ধরলে
এই মেয়ে! তোকে মনে রাখতেই হবে একশো!

দেখিস না আমি কবি,কবিতা লিখি
দলবদলে কিভাবে পেয়ে যাই একশো।

একশো না হলে কিভাবে বাঁচবি তুই?
একশো না পেলে কিভাবে ফার্স্ট হবি?
কেমন করে সকলকে ছাড়িয়ে যাবি?

দেখিস না আমি রাষ্ট্রীয় একশো পেয়ে
কেমন চুপ করে আছি।
রাষ্ট্র যা ইচ্ছে করুক ভারত পাড়ায়
একশো পেলেই নীরব থাকা যায়,
বধির না হলেও চোখ মুখ বন্ধ হয়ে যায়।

তোকে একশো চিনতেই হবে।
ধর্ষিতা হওয়ার আগে একশো ডায়াল
করলি না কেন?
তোর চোখের সামনে তখন কি ভাসছিল?
হাজার হাজার শূন্য!
তুই ভয় পেয়েছিলি?
তোর ট্রমা হয়েছিল?

একবার একশো ডায়াল করতে পারলি না?
করলেই তো
রাষ্ট্র তোর ধর্ষণ রুখে দিত!
পেট্রোল ঢেলে তোর পূড়ে মরা রুখে দিত!
দেশজুড়ে রাষ্ট্র বলছে
একশো! একশো!বলো একশো।
কেন মনে থাকেনা তোর?

চিকিৎসাশাস্ত্র পড়িস
তুই এতো মেধাবী মেয়ে!
তোর একশো মনে থাকেনা?

একশো ডায়াল করে দ্যাখ্
রিং হয়ে যায়,ধরে না তো কেউ।
সেই সুযোগে তোর শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ খুবলে খেয়ে যায়
ধর্ষক ও তার ফেউ।

সব শেষ—
এবার উঠবে মোমবাতির ঢেউ!

ভারতবর্ষ জুড়ে চলছে ধর্ষণ-শো
মনে রাখ মেয়ে তুই— একশো! একশো!