অবতক খবর :: বাঁকুড়া :: ২৬ জুন ::    নিজেদের পণ্য সামগ্রী পরিবহনের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশনকে কেন্দ্র করে এই সেতু নির্মাণ করে। মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের পণ্য পরিবহনের সাথে চলে অন্যান্য পরিবহনও। কয়েক হাজার যানবাহনের নিত্য যাতায়াত এই সেতুর উপর দিয়ে। কিন্তু সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জেরে ভগ্নদশায় পরিণত হতে চলেছে এই সেতু। ১৯৯৬ সালে সেতু নির্মাণের পর কেটে গেছে ২৩টা বছর । এই ২৩ বছরের মধ্যে বিগত পাঁচ ছয় বছর যাবত সেতুটির হাল বেহাল হয়ে পড়েছে।

সেতুর বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। সেতুর ঢালাই অংশের রড ও বেরিয়ে পড়েছে। আর সেই বেরিয়ে থাকা রড বাইকের চাকায় লেগে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। এছাড়াও বিভিন্ন বড় গাড়ি চালকরাও পড়ছেন নানান সমস্যায়। তা সত্ত্বেও এই সেতু মেরামতির কাজে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা রাজ্য প্রশাসন কেউই এগিয়ে আসেনি বলেই অভিযোগ।

যদিও বেশ কয়েকবার বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা এবং বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই সেতুর বিপদজনক জায়গাগুলি মেরামতের উদ্যোগ নিলেও লাভ হয়নি কিছুই। কিছুদিন গেলেই  সেতুর সেই খানাখন্দ পুনরায় সৃষ্টি হচ্ছে ।যদিও তাতেও হাল ছেড়ে দেননি তারা। এবার  এই সেতুকেই  বিপদ মুক্ত করার লক্ষ্যে এগিয়ে এল মেজিয়ার একদল যুবক।তারা সেতুর দু’ধারে দীর্ঘদিনের জমে থাকা বালি সরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করল। শুধু তাই নয় সেতুর মরণখাদ গুলিকে বুঝিয়ে বিপদ মুক্ত করার জোর প্রয়াস চালালো তারা।