বাংলাদেশে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হল এক বাঙালি কবি

একটি সংবাদঃ লিখছেন তমাল সাহা

এটা সুসংবাদ না দুঃসংবাদ আমি তার কি জানি?
আমার বাংলাদেশের বন্ধুরা তাদের ওয়ালে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং আমাকে জানিয়েছে তাই আমি খুশি।
ওয়ালে প্রতিবাদ জানিয়েছে সায়েদা রত্না, সৈয়দ জাকির হোসেন, বিধানচন্দ্র মণ্ডল আরো অনেকে। আমি তাদের প্রতিবাদীস্বরকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।

সেদিনটা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলা। এখানে থাকেন এক অশীতিপর মানুষ। গান বাঁধতে পারেন, গান গাইতে জানেন। অনেকেই তাঁকে বলেছেন পল্লীকবি-চারণ কবি। তিনি রাধাপদ রায়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানেন, অন্যায়ের মুখোমুখি হতে জানেন।
তিনি বলেন, মানুষ পদবাচ্য লোকেরা অন্যায় অপরাধ করে, ধর্ম করে না।
খুব সম্ভবত কোনোদিন কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য আজ তিনি শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন। জানা গিয়েছে দুজন প্রতিবেশী হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের একজন বলেছেন, ও হিন্দু কবিদের পেটালে কিছু হয় না।

চারণ কবি দীপ্ত এবং দৃপ্ত ভাবে বলেন, আমি কিয়ামত জানি।

তাহলে আমি এখন কি করি?

কি আর লিখি আমি?
ক্রমাগত দেখি আর হই হতাশ
ঘন ঘন এই পৃথিবীর ঘাসের উপরে পড়ে দীর্ঘশ্বাস
উন্নয়ন! সভ্যতা! দেশ আর দেশ!
তাহাদের বুকে এখনো ঘনীভূত বিদ্বেষ!

কোথাও রাধাপদ কোথাও নাজিম ফকির
দেখো মানবতা লাঞ্ছিত, কত কদর্য গভীর!

রাতে নক্ষত্রেরা বলে, দিনে সূর্য বলে
স্নিগ্ধ অথবা তেজী
তোদের কোনো আলো দিয়ে লাভ নেই
তোরা থেকে যা অন্ধ তিমিরেই!