নিজস্ব সংবাদদাতা : অবতক খবর :     ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হাওড়া বাঁকড়া এলাকা। গতকাল রাতে ডোমজুড়ের রাজিবপল্লীতে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত কমপক্ষে আটজন। তাদের মধ্যে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি চারজন।

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ গতকাল রাতে তাদের দলের কর্মীরা ওই এলাকায় একটি ফিস্ট এর আয়োজন করেছিল। যখন রান্নাবান্না হচ্ছিল তখন খেলা হবে গান চলছিল। সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।এলাকার তৃণমূল কর্মী প্রিয়ঙ্কা দলুই জানান ঘেটু পুজো উপলক্ষে মহিলারা ফিস্ট করছিলেন।তখনই চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা।বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে হামলা করে।ভাঙচুর করা হয় বাড়ি ঘর।

এলাকার বিজেপি কর্মী শংকর দেবনাথ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন বিজেপি করার অপরাধে তাদের মারধর করে টিএমসি কর্মীরা। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গতরাতে ওই এলাকায় কমপক্ষে দুই তরফের সাতটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বাঁকড়া তদন্তকেন্দ্রের পুলিস। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডোমজুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষ বলেন তাদের দলের মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে বিজেপি কর্মীরা। মারধর করে বহু টিএমসি কর্মীদের। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন তিনি।

আজ দুপুরে আহত বিজেপি কর্মীদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে দেখতে আসেন ডোমজুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন তৃণমূল কর্মীরা ওই এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। অনেক পরিবার ঘরছাড়া।পুলিশের ভূমিকা নককারজনক। বাঁকরা এলাকা অশান্তি এড়াতে আরো বেশ কিছুদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি পুলিশের ভূমিকাকে নক্কারজনক বলেই দাবি করেন।