অবতক খবর,১৪ নভেম্বরঃ বিয়েবাড়ি,অন্নপ্রাশন বা যে কোনও অনুষ্ঠানে বাঙালির শেষ পাত মানেই মিষ্টি, আর এই মিষ্টি মানে রসগোল্লা না হলে কি আর চলে।

কালের পর কাল বয়ে গেছে তবে বাঙালির শেষ পাতে মিষ্টির ঠাঁই সেই কবে কাল থেকে, সেকাল থেকে একাল, বাঙালির পাতে একই ধারা!

গ্রাম থেকে শহর বাঙালি শেষ পাতের আজও জায়গা করে রয়েছে রসগোল্লা।

বাঙালির রসগোল্লা পাড়ি দিয়েছে বিশ্বময়, রসগোল্লার ঐতিহ্য নিয়ে টানা পোড়েন রসগোল্লা কার! উড়িষ্যার নাকি বাংলা কলকাতার। তাতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলা। বাংলার ঘরে মিষ্টি মুখ মানেই রসগোল্লা, বাংলা জুড়ে রসগোল্লা ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। গামে গঞ্জ থেকে শহর ময়রা দোকান মানেই রসগোল্লার সম্ভার, বাঙালির রসগোল্লা আজ শুধু সাদা রসগোল্লাতেই থেমে নেই, শীতের নলেন গুড়ের রসগোল্লা গরমে আমের রসগোল্লা তারপর আরো কত কি নতুন স্বাদের রসগোল্লা মেতেছে বাঙালি।

এবার এই রসগোল্লা নিয়ে হৈ হৈ রব হাওড়ার বাগনানে, বর্তমান চড়া মূল্যের বাজারে বাঙালির মিষ্টিমুখে রসগোল্লার যোগান মাত্র ৩ টাকা প্রতি পিসে চাহিদা মিটছে মানুষের। ৩ টাকার রসগোল্লা কিনতে হিড়িক লেগে যায়, হাওড়া বাগনান হরিনারায়নপুর বাজারে তপন সামন্তের ময়রার দোকানে। সন্ধা হলেই গরম গরম রসগোল্লা পান্তুয়া বা ছোট ল্যাংচা মাত্র তিন টাকা পিস, তপনবাবু জানান গত বেশ কয়েক বছর ধরে তিন টাকার রসগোল্লা পান্তুয়া ও ল্যাংচা তৈরি করে চলেছেন। এতেই তার লাভও হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন আসল ব্যাপার হল তার দোকানে তিনি একাই একশ জল আনা থেকে মিষ্টি তৈরি করা সমস্ত কাজই তার নিজের হাতে।