অবতক খবর , গোপাল মন্ডল , দক্ষিণ২৪ পরগনা :-   বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে সহবাস নার্সিং য়ের দ্বিতীয় বিভাগের ছাত্রীর সঙ্গে । সহবাসের বেশ কিছু ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা , আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলায় অভিযুক্ত জানায় যে সে শাসক দলের উপপ্রধানে ছেলে কিছু হবেনা । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪পরগনার বিষ্ণুপুর থানার দৌলতাবাদে।বাবা মার একটি মাত্র মেয়ে ।

নির্যাতিতা ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনেদের অভিযোগ যে সৌমদ্বীপ খাঁর সঙ্গে ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করতো নির্যাতিতা ছাত্রী,আর সৌমদ্বীপের পাড়ার ছেলে তুহিন কুমার আদক । তুহিন ও সৌমদ্বীপ দুই জনে ২০১৬ সালে থেকে আসতে থাকে বন্ধবী অর্থাৎ নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়িতে । এরপর তুহিন ছাত্রীটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় ২০১৭ সালে। ছাত্রীটি রাজি হয় এর পর তাদের প্রেমের সম্পর্ক এগোতে থাকে। ২০১৮সালে ছাত্রীটিকে তুহিন কন্যনগরে তার মামার বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং সেখানে গিয়ে তুহিন তার মা ,বাবা ও মামা মামিমার সঙ্গে পরিচয় করায় ও বিবাহের প্রস্তাব দেয়। এই ভাবে চলতে থাকে কিন্তু বেশ কিছু বার তুহিন তার মামার বাড়িতে নিয়ে যায়। একবার ছাত্রীটিকে তুহিন বলে যে আমরা স্বামী স্ত্রী ,মেয়েটি বলে কিভাবে ? তুহিন জানায় যে আমি আমার বাবা ,মা ও মামার ও মামিমার সামনে বিবাহের প্রস্তাব দিলাম । আমরা বিবাহ করলে তোমাদের বাড়িতে ও মেনে নেবে। এই ভাবে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুহিন । এবং শারীরিক সম্পর্কের সময়ে মোবাইলে বেশ কিছু ছবি তোলে তুহিন কুমার আদক এবং মেয়েটির জিঞ্জাসা করায় তুহিন জানায় পড়ে ডিলিট করে দেবো ।

 

তুহিন উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর Bsc অফ টেকনোলজি নিয়ে সঞ্জবনী হসপিটালে হাওড়ার ফুলেরশ্বরে ভর্তি হয় ও মেয়েটি বেহালার ওম্যান কলেজে ভর্তি হয় । তুহিন মেয়েটিকে প্রস্তাব দেয় যে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনার জন্য মেয়েটি জিজ্ঞাসা করে কতোটাকা খরচ পড়বে তুহিন যানায় যে ৫ লক্ষ টাকা পড়বে Gsm য়ে। এরপর মেয়ে বাড়িতে জানায় ও মেয়েটির বাবা মা প্রথমে ২৫ হাজার টাকা ও পড়ে দেনা পাওনার করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেয় ও মেয়েটি হাওড়ার ফুলেরশ্বরে সঞ্জীবনীতে ভর্তি হয় নার্সিংয়ের জন্য। এরপর হোস্টলে থেকে পড়াশোনা করতে থাকে , পাশাপাশি তুহিন নার্সিংয়ের নাম করে মেয়েটির বাড়ি থেকে বেশকয়েক দফায় ৩০ ও পড়ে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় কলেজের হোস্টলের ফ্রি দেবে বলে কিন্তু জমাদেয়নি। মেয়েটি জানায় যে ফ্রি না জমা দেওয়ার করণে মেয়েটি কে কলেজ থেকে উল্টো পাল্টা শোনাতে থাকে , মেয়েটি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে যে তুহিন টাকা জমা দেয়নি। মেয়েটি জিজ্ঞাসা করায় তুহিন জানায় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে টাকা ফেরত দিয়ে দেবে , কিন্তু মেয়েটি রাজি না হওয়ার মেয়েটিকে খুনের হুমকি দিতে থাকে পাশাপাশি এসিডদগ্ধ করে দেবে বলে হুমকি দেয় তুহিন। মেয়েটি আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে জানায় তুহিনকে , তুহিন জানায় তার মা উপপ্রধান পুলিশ কিছু করবে না বরং দু-একদিনের ভিতরে জামিন হয়ে যাবে। এছাড়াও দীর্ঘ লকডাউন সময়ে মেয়েটিকে উতপ্ত করতে থাকে অবশেষে মেয়েটির তার বাবা মা কে সমস্ত বিষয় জানান এবং মেয়েটির বাবা, মা থানায় আসে। এ ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ কর্ণপাত করে না। পরে আবার স্থানীয় নেতৃত্বদের ধরে আবারও ১৩ তারিখে বিষ্ণুপুর থানার সমস্ত বিষয় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ সূত্রে খবর যে লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে তুহিন কুমার আদকে পুলিশ গ্রেফতার করে ও আলিপুর আদালতে তোলে। মহামান্য আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ।
তুহিন কুমার আদকের বাড়ি বিষ্ণুপুর থানার গোতলা সুলতান গঞ্জে ,তার মা পঞ্চানন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কিন্তু ছেলেটি জানায় উপপ্রধান । তুহিনের বাবার নাম রঞ্জিত আদক ।তুহিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬,৪১৭ এবং ৪০৬ ধারা দেওয়া হয়েছে।