অবতক খবর,৯ আগস্ট: আজ সমাজসেবী সংস্থা উত্তীর্ণ-র পক্ষ থেকে এই অঞ্চলের সাংবাদিকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন অঞ্চলের বয়স্ক,নবীন সাংবাদিকরা এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস।

এই সাংবাদিক সংবর্ধনা সভায় মৃত্যুঞ্জয় দাস সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সাংবাদিকরা নাকি নিরপেক্ষ নন। তারা সাংবাদিকতার মুখোশ পরে বিভিন্ন দলবাজি করেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা তাঁর এই বক্তব্য শোনেন। সংবর্ধনা সভায় এমন বক্তব্য রাখা সমীচীন কিনা এই নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ জমা হয়েছে। ‌

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বরিষ্ঠ সাংবাদিক দেবাশিস রায় বক্তব্য রাখেন। তিনি উত্তীর্ণ-র এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানান। উত্তীর্ণ-র কাজকর্মের বিষয়ে প্রশংসা করেন। কিন্তু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিকদের চরিত্র নিয়ে, তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন সে বিষয়ে তিনি কোন পাল্টা জবাব দেননি। তিনি বীজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকেও কেন এর জবাব দিলেন না এই নিয়েও সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে।

শেষ পর্যন্ত অবতক-এর খুদে ও বিতর্কিত সাংবাদিক রঞ্জন ভরদ্বাজ বক্তব্য রাখেন। তিনি এ বিষয়ে বলেন যে, সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ পরিবেশন করা। আর রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে তাদের পক্ষে লেখ। কোন সংবাদ রাজনৈতিক নেতা বা তার দলের পক্ষে গেলে সাংবাদিকরা খুব তারিফ পান,আর বিপক্ষে লিখলেই সাংবাদিক সেই দল বা নেতার কুনজরে পড়ে যান। অর্থাৎ দলীয় নেতাদের চক্ষুশূল হন।

রঞ্জন বলেন,সাংবাদিকরা নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই কাজ করেন। কারণ সাংবাদিকরা কোন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় পুষ্ট নন, রাজনৈতিক কর্মীও নন। তাদের থেকে তারা কোন পয়সার লেনদেনও করেন না। সুতরাং সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলা একজন রাজনৈতিক নেতার উচিত নয়। বরঞ্চ বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষের সমস্ত লোকই রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র বুঝে গিয়েছেন। তাদের যে দুটো মুখোশ তারা বুঝে গিয়েছেন। একটা মুখোশ তো তারা পরেই আছেন নেতা হিসেবে। আর বর্তমানে এই করোনা কালে তারা একটা আলাদা মুখোশ পরছেন। এই দুই মুখোশের আড়ালে তারা তাদের যে ‘কাজ’ তারা ঠিক করে যাচ্ছেন। এইজন্যই বর্তমান সময়ে নেতাদের কেউই ভালো চোখে দেখেন না। এই প্রতিবাদ জানান অবতক-র পক্ষ থেকে রঞ্জন ভরদ্বাজ।

তাঁর এই বক্তব্যের সময়ে অন্যান্য সাংবাদিক বন্ধুরা হাততালি দিয়ে সাবাশ জানান। এছাড়াও সংবর্ধনার প্রত্যুত্তরে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক স্বপন দাস, সোনালী ব্যানার্জী, সৌভিক সরকার এবং আকাশ।