অবতক খবর: এনডিএ’র বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’র লড়াই আদৌ কি সফল হবে? নয়া নামকরণে নয়া জোট গঠনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় শরিক কংগ্রেসের যা ভাবভঙ্গি, তাতে উঠে গেল প্রশ্ন। বামেদের সুরেই ২৪, আকবর রোড কার্যত ইঙ্গিত দিয়ে রাখল ‘ইন্ডিয়া’তে যতই পাশাপাশি বসুন সোনিয়া-মমতা-রাহুল, বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করবে কংগ্রেস। আবার একইভাবে কেরল ও ত্রিপুরাতেও বামেদের বিরুদ্ধে লড়বে দেশের সবথেকে পুরনো রাজনৈতিক দল।

পাটনার বৈঠকের পরই সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ইউপিএ আমলের উদাহরণ টেনে বলেছিলেন, সেই সময়ও যা হয়েছিল, এবারও তাঁরা সেভাবেই এগোবেন। অর্থাৎ, বিজেপিকে ঠেকাতে নির্বাচন পরবর্তী সমঝোতা। ইয়েচুরির বক্তব্য ছিল, সেবারও ৫৭টি আসনে কংগ্রেসকে হারিয়ে সংসদে এসেছিলেন বাম সাংসদরা। দেশের স্বার্থে সেই কংগ্রেসকেই আবার সমর্থন করে তৈরি হয়েছিল মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন প্রথম ইউপিএ সরকার।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোন ফর্মুলায় আসন সমঝোতা করবে জোট। উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার আপত্তির কথাও। বলেন, “এতগুলো দল একসঙ্গে এলে বৈচারিক বৈপরীত্য, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। দেশ ও জাতির স্বার্থে সেগুলো সরিয়ে রেখেই আমাদের চলতে হবে।”

এবার কংগ্রেসের মুখেও শোনা গেল কার্যত সেই বুলি। আসন সমঝোতার সমীকরণকে ভবিষ্যতের গর্ভে ঠেলে দিয়েও আগেরদিন বেঙ্গালুরুতে উপস্থিত থাকা এক কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, কেরলে কোনওভাবেই এলডিএফ এবং ইউডিএফের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই নয়। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলায় যা ঘটেছে, তাতে প্রদেশ স্তরের নেতৃত্বের বক্তব্যও ফেলে দেওয়ার নয়। ওই কংগ্রেস নেতার আরও বক্তব্য, “আসন সমঝোতা নয়। বৃহত্তর স্বার্থে নীতিগত লড়াইয়ের জন্যই আমরা সবাই সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছি।” একদিকে বিজেপি বিরোধী লড়াই করার জন্য প্রত্যেককে একত্রিত করার চেষ্টা, আবার পরমুহূর্তেই তার বিরুদ্ধাচরণ করলে কি আদৌ সাফল্য পাবে ‘ইন্ডিয়া’? জেরবার এই প্রশ্নে।