অবতক খবর,সুমিত,কলকাতা,১০ এপ্রিল: আমি মন্ত্রিসভা, প্রশাসন, সরকারের সদস্য নই। এটা বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে না। রবিবার ফেসবুকে লাইভে এসে এই বার্তাই দিলেন কুণাল ঘোষ । এসএসসি-কাণ্ড নিয়ে শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ান ফিরহাদ হাকিম তৃণমূল মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করেন পরিবহণমন্ত্রী।

পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে পার্থদা-র কী সম্পর্ক? তৃণমূল নেতা-কর্মীরা অন্যায় করে না, অন্যায় করেনি। যদি কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটি থেকে থাকে, সেটা তদন্ত-সাপেক্ষ। পার্থদা যে ক্যাবিনেটের সদস্য ছিলেন, আমিও সেই একই ক্যাবিনেটের সদস্য ছিলাম। তাহলে কিছু হলে দায় আমারও বর্তায়। কুণাল মন্ত্রিসভায় সদস্য নয়। কোথায় কে ঘুষ নিচ্ছে, বেনিয়ম হচ্ছে জানা সম্ভব?’ এভাবেই দলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তবে কুণালের এদিনের ফেসবুক লাইভকে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

রবিবার প্রায় ২৭ মিনিট দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে খানিকটা ববি হাকিমের এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এসএসসি-কাণ্ডে তাঁর মন্তব্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমে পরিবেশিত সংবাদের সমালোচনা করেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে কুণাল ঘোষ বল ঠেললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোর্টে। তারপর দিন বলা হয়েছে কুণাল ঘোষের শুরু বদল। তবে প্রথম দিন আমি ঠিক কী বলেছিলাম? এসএসসি নিয়ে যা বক্তব্য, মন্তব্য দলের মহাসচিব এবং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গুছিয়ে বলতে পারবেন। আমি ভুলটা কী বলেছি? আমি যেটা বলেছি তার মানে কী পার্থ দা দোষী?
আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দোষারোপ করিনি।

এরপরেই তৃণমূল মুখপাত্রর মন্তব্য, ‘আমি মন্ত্রিসভার সদস্য নই। সরকারের, প্রশাসনের সদস্য নই এটা মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে দল করি। তৃণমূলের প্রতি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি আমি অনুগত। আমি টিএমসি-কে ভালবাসি। আমি শুধু আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছি। আমার মন্ত্রিত্ব নিয়ে কোনও হ্যাংলামি নেই। মন্ত্রী না হলে যাঁরা অসম্পূর্ণ, এসব তাঁদের ক্রাইটেরিয়া। একমাত্র ঈশ্বর জানেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন আমি নেত্রীকে বলেছি কোনও ধরনের নির্বাচনে আমার নাম প্রস্তাব না করতে।

আমি কোনও ভুল করলে, তার জবাব আমি নিজে এসে দেব। অতিথি শিল্পী বা ভাড়াটে সৈন্যদের দিয়ে ডিফেন্ড করার চেয়ে থুতু ফেলে ডুবে মরা ভালো। এভাবেও এদিন ফেসবুক লাইভে সরব ছিলেন কুণাল। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত করে সংশোধন করলে মানুষ পাশে থাকবে।