অবতক খবর: পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঘোষণার পর মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের আচরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই অবস্থায় মঙ্গলবার ডোমকলে রোড শো করতে চলেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আর এদিনই ভরতপুরে সভার ডাক দিয়েছিলেন বিদ্রোহী বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এ নিয়ে দলের নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। চাপের মুখে শেষমেষ ভরতপুরের সভা বাতিলের কথা ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। একই সঙ্গে ডোমকলে অভিষেকের কর্মসূচিতে তিনি যাবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

হুমায়ুন কবীর এদিন জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সির কথা মেনে তিনি সভা বাতিল করেছেন। একই সঙ্গে ডোমকলে অভিষেকের কর্মসূচি নিয়ে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘অভিষেকের কর্মসূচিতে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। আমি যাব না’। প্রসঙ্গত, প্রার্থী পদ নিয়ে হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে জেলার আরও তিন বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে রবিউল আলম চৌধুরী ও আব্দুর রাজ্জাক অভিষেকের কর্মসূচিতে গেলেও অন্য এক বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খান অসুস্থতার কারণে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, এদিনও হুমায়ুন কবীর জেলা সভাপতি সামনে শাওনি সিংহ রায়কে নিয়ে কটাক্ষ করেন। তাঁকে অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছেন বিধায়ক। সম্প্রতি পঞ্চায়েতের টিকিট বিলি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই কারণে ওই নেত্রীকে অপসারণের দাবি করেছিলেন। গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে সম্প্রতি মন্ত্রী মলয় ঘটক বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হুমায়ুন কবীরকে এসব থেকে বিরত থাকার বার্তা দিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি শাওনি সিংহ রায়। তিনি দলের ওপরই পুরো বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট বাক্সে কী প্রভাব পড়বে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও হুমায়ুন কবীর নিজেই দাবি করেছেন, এরফলে পঞ্চায়েত ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না কারণ যারা নির্দল হয়ে লড়ছে তারা তৃণমূলের এই লোক।

অন্যদিকে, গত মবার মুর্শিদাবাদে নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত হয়ে ফিরহাদ হুমায়ুন কবীরকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, ‘আমি বলব ওকে এসব থেকে বিরত থাকা ভালো। কারণ আমাদের লড়াইটা নিজেদের মধ্যে নয়, আমাদের লড়াইটা বিজেপির বিরুদ্ধে। নিজের ইগোকে এখানে গুরুত্ব দিলে চলবে না। ভারতবর্ষকে বাঁচানোর লড়াই পঞ্চায়েত ভোট দিয়ে শুরু। পঞ্চায়েত ভোট ভাগ করে দিলে সেটা বিজেপির সুবিধা হবে।’