অবতক খবর, সংবাদদাতা :: রাত ১১-৪০ মিনিটে নৈহাটির বড়দা ব্রীজের ওপর দুটো মোটর বাইকে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই বাইকের চালক ছিটকে পড়ে যান রাস্থার ধারে। পথ চলতি মানুষ দৌড়ে এসে উদ্ধার করে তাদের ও দুই চালককে নৈহাটি হাসপাতালে পাঠায়। স্থানীয় মানুষ দেখতে পান যে মোটর বাইকের পাশে রয়েছে একটি মুড়ির প‍্যাকেট।আর এই মুড়ির প‍্যাকেটের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় বোমা । বোমা দেখেই পথচলতি মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়েযায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায রাতের টহলরত পুলিশ । ঘটনাস্থলে থেকে পুলিশ উদ্ধার করে মুড়ির প‍্যাকেটের মধ্যে রাখা বোম। স্থানীয় মানুষই দুজন কে কল্যাণী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তুলে নিয়ে যান।

এই বোমা কাণ্ডে পুলিশ ইতি মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেপ্তার যুবকের নাম উজ্জ্বল দাস বলে জানা গেছে। তবে উজ্জ্বল দাস এলাকার বাইরের ছেলে খাওয়া পার্টি বলে পরিচিত। অন্যদিকে রাজু নামে এক জনকে কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।

নৈহাটির যুব সভাপতি সনৎ দে জানান নৈহাটি এখন বারুদের উপরে বসে আছে। নৈহাটি কে ভাটপাড়া তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন অর্জুন সিং। তিনি বারেবারে বোমা কান্ড ঘটাচ্ছেন । সনৎ জানান এই হাসপাতালে যে ব্যক্তি ভর্তি আছে সে হার্ডকোর ক্রিমিনাল নাচুর পরম বন্ধু। সনৎ এর দাবি অর্জুন সিং নাচুরা মিলে যে কোনদিন তাকে খুন করতে পারেন। ইতিমধ্যে আশঙ্কা জাহির করে বহুবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। তার ওপর কয়েকবার আক্রমণ করা হয়েছে কিন্তু জানিনা কেন পুলিশ নাচু কে গ্রেফতার করছে না। সনৎ জানান গঙ্গা ঘাটের ওইখানে প্রতিনিয়ত বোমা তৈরি করছে নাচু। সাপ্লাই এর কাজে যুক্ত ছিল রাজু। সনদ জানান এই রাজু আগে মহিলা সাপ্লাইয়ের কাজ করত , তাই লোকে তাকে ভক রাজু বলে চেনে।

অন্যদিকে নাচু ওরফে সোমেন সরকার জানান বোমা তৈরি করে করা। করা তাদের কাছ থেকে টাকা কালেকশন করে এটা সকলের জানা, পুলিশও জানে। নাচুর বক্তব্য বারে বারে জোর করে আমার নাম জড়িয়ে দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বিধায়ক পার্থও ভৌমিক, সনৎ দে ও অশোক চ্যাটার্জীরা । পুলিশ যেহেতু তাদের কথা শুনছে না তাই বারেবারে আইসি বদল করছেন তারা। নাচু জানান গত ৮ মাসে তিনটি আইসি বদল করে ফেলেছে তারা। তাদের ইচ্ছা মতন কাজ করছে না যে আইসি তাকে পাল্টে দিচ্ছেন তারা। নাচু আর জানান আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি তার চিকিৎসায় আমি ব্যস্ত আর কোথায় কি হয়েছে সে ব্যাপারেও বলতে পারবনা।