অবতক খবর,১৯ আক্টোবর: আজ শুক্ল চতুর্দশী। তারাপীঠের তাঁরা মায়ের আবির্ভাব তিথি। গর্ভগৃহ থেকে মাকে নিয়ে আসা হয়েছে বিরাম মঞ্চে। দিনভর সেখানেই পালিত হবে যাবতীয় আচার-উপচার। সকাল থেকেই মন্দিরে ভক্তদের ঢল নেমেছে৷ প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হয়েছে পূজার্চনা।

লোকগাথা অনুযায়ী, আশ্বিনের শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে তাঁরা মায়ের আবির্ভাব হয়েছিল। কথিত আছে, পাল রাজত্বের সময় স্বপ্নে তারা মায়ের নির্দেশ পেয়ে চতুর্দশীতে শ্মশান থেকে তাঁর মূর্তি এনে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন জয়দত্ত সওদাগর। সেই উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো আজও তারাপীঠে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।

শ্বেত,শিমুল বৃক্ষের তলায় পঞ্চমুন্ডির আসনের নীচে মায়ের শিলামূর্তি আছে। শুক্ল চতুর্দশীর এই তিথিতেই সেই মূর্তি উদ্ধার করে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন জয় দত্ত। এ দিন সূর্যোদয়ের আগে, ঘুম ভাঙিয়ে ভোর তিনটে নাগাদ মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে মায়ের বিগ্রহ বের করে আনা হয়। বিরাম মঞ্চে তাঁর ছোট বোন মুলুটির মা মৌলিক্ষার মন্দিরের অভিমুখে পশ্চিমদিকে বসানো হয়।

জীবিত কুণ্ডু থেকে জল এনে মাকে স্নান করানোর পর পরানো হয় রাজবেশ। এর পর বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে মঙ্গল আরতি পর্ব। আজকের দিনেই তাঁরা মাকে এক পলক ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পান ভক্তরা। ভক্তরা মাকে স্পর্শ করে পুজো দেন।

দিনভর বিরামমঞ্চে থাকার পর বিকেলে আরতির পর মাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মূলমন্দিরে। স্নানের পর নবরুপে সাজানো হয় দেবীমূর্তিকে। রীতি অনুযায়ী মায়ের আজ উপোস। এ দিন মায়ের মধ্যাহ্ন ভোগ হয় না। দিনভর তাই ফল-মিষ্টিই খান মা। মহাভোগ তোলা থাকে রাতের জন্য।

সকালে মঙ্গলারতির পর লুচি, মিষ্টি, সুজি দিয়ে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। রাতে খিচুড়ি, পোলাও, পাঁচরকম ভাজা, মাছ-মাংস দিয়ে করা হয় ভোগ নিবেদন।