অবতক-এর বিশেষ প্রতিবেদন

অবতক খবর,২৫ এপ্রিল: অজয় মুখার্জীকে মনে পড়ে?

এই সেই অজয় মুখার্জী যিনি ১৯৬৯ সালে কাঁচরাপাড়া কবরখানা ময়দানে এক রৌদ্রাক্ত দুপুর নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিয়ে বলেছিলেন, আমি যদি কংগ্রেসে যাই আমার নামে কুকুর পুষবেন।

এই সেই অজয় মুখার্জী যিনি ১৯৬৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৩০ বছরের কংগ্রেসী অপশাসনের পতনের সূচনা করেন। আর ১৯৬৭-র নির্বাচনে আরামবাগের গান্ধী মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেনকে হারিয়ে দেন।

এই সেই অজয় মুখার্জী যিনি ১৯৬৯ সালে কার্জন পার্কে দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের সরকারের বিরূদ্ধেই আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ করে অনশন করেন এবং পদত্যাগ করেন।

 

এই অজয় মুখার্জী ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ‘বিদ্যুৎ বাহিনী’ নিয়ে মেদিনীপুরে এক অঞ্চল দখল করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

 

১৯৫২ সালে অজয় মুখার্জী কংগ্রেস সরকারের সেচমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়েও তিনি একবার কাঁচরাপাড়ায় এসেছিলেন।

কাঁচরাপাড়ায় জল নিষ্কাশন,এক দীর্ঘকালীন পুরাতন সমস্যা। পৌর ও রেল অধ্যুষিত এলাকার নর্দমাগুলো একমাত্র আউটলেট বাগের খাল। এটি সংস্কারের কথা ১৯৫২ সাল থেকে চলে আসছে।

অথচ কেউ এই সমস্যার সমাধানে গা করছেন না। এই সংস্কারে দীর্ঘসূত্রিতার অর্থ কাঁচরাপাড়ার জনজীবনকে

দূষণের আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলা। তাই এই খালকে মজে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এটি সংস্কারে ছাত্র ও শহরবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

 

এই পরিকল্পনা রচনার দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন পুর প্রধান রাসবিহারী শাস্ত্রী। বাগের খাল সাফাইয়ের কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সেচমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায় কাঁচরাপাড়ায় এসে কাঁচরাপাড়া মিউনিসিপ্যাল পলিটেকনিক হাই স্কুল থেকে ছাত্রকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজেই খালে নেমে সাফাইয়ের কাজে হাত দিয়েছিলেন। সেই কাঁচরাপাড়া আজও নর্দমার জলে হাবুডুবু খেয়ে ডুবতে বসেছে।

 

ছবিতে মন্ত্রী অজয় মুখার্জী কংগ্রেস কর্মী নরেন দে এবং সেবায়কর্মীদের কচুরিপানা ওঠাতে দেখা যাচ্ছে।

 

সাফাইওয়ালা মন্ত্রী অজয় মুখার্জীকে তোর মনে পড়ে, কাঁচরাপাড়া?