আজ তবে কালী লিখি
তমাল সাহা

হাতে কালি মুখে কালি
রামপ্রসাদরে তুই আমারে কি শেখালি?
শব্দ কিসের,দিচ্ছে কারা করতালি?
কারা এত অস্ত্র হাতে, বারুদ গন্ধ চলছে গুলি।
চতুর্দিকে নন্দী ভৃঙ্গি ডাইনি দেখি
তবে আজ চল রে মন কালী লিখি।

প্রসাদ রে!
তুই বলেছিলি দেও মা আমায় তবিলদারি।
কি বলি তোরে এখন
ক্ষমতা বড়, মন উচাটন ফেরি করে প্রমোটারি।
নেতার ঘরে টাকার কাঁড়ি
গরু কয়লা সোনা পাচার— সব কিছুতেই দখলদারি।

মন রে আমি তোর খাস তালুকের প্রজা
নই পলাতক, নই আসামী।
দোষ রে মন শ্মশানে বসে টানি গাঁজা
কালী বলে ডাকবো না আর, তুই হারামি!

ভবের মাঠে ঘুরে বড়াই,আমি কি দুঃখেরে ডরাই?
আমি তোর বাপের নয়, নিজের খাই।
আমি নই রে তোর আটাশে ছেলে
তোর গর্ভেই লুকিয়ে আমি,
কি করে তুই ভরবি জেলে?

জীবনটা আমার করলি যে তুই হেলাফেলা
এই দেখো সব বিবসনা মাগির খেলা!
কি আর উপায়, আয় মন বেড়াতে যাবি
প্রবাহিনী মন্দাকিনী, তীরে তার হাওয়া খাবি!

এলোকেশী দিগবসনা,
কী রূপ যে তোর! হারিয়ে গেল কাম বাসনা।
ও মন বল রে আমায় এ শরীরে কাজ কিরে ভাই?
মন রে তুমি কৃষিকাজ জানো না
রাজা তো মা মহেশ্বরী, এ সংসারে কাকে ডরাই?

এমন দিন কি আর হবে তারা, তুই আমি হাতধরা
মানব জমিন আবাদ হবে শস্যপূর্ণ এই ধরা?
তা যদি না হয় রে উলঙ্গিনী,উঠবো আমি রণরণি, গেয়ে যাবো
ওরে মন চড়কি চরক করো, এবার কালী তোমায় খাবো।