অবতক খবর,২৯ ডিসেম্বর : বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগেই, এবার চাকরি বাঁচানোর শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ৮৮ জন প্রাথমিক শিক্ষক। যাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন এই ৮৮ জন। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তাঁদের বক্তব্য শুনতে হবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার হলফনামা জমা দিলেন ৮৮ জন। মোট ২৬৮ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার মধ্যে ৫৪ জন তাঁদের বক্তব্য পেশ করেছে আগেই। আর সেই বক্তব্য শোনার পর চাকরি গিয়েছে তাঁদের মধ্যে ৫৩ জনের। এবার ৮৮ জনের মধ্যে কতজন চাকরি টিকিয়ে রাখতে পারবেন, সেটাই প্রশ্ন।

কয়েকদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ৫৪ জন হলফনামা দিয়েছিলেন। তাঁদের কাছে বৈধ নথি আছে কি না, সেটাই মূলত দেখতে চাওয়া হয়েছিল। নিয়োগ নিয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে আদালত। যে ২৬৯ জনকে হাইকোর্ট চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল, তাঁরা চার বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু আবেদনকারীদের বক্তব্য় ছিল, মামলায় তাঁদের ‘পার্টি’ করা হয়নি। অর্থাৎ বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাননি তাঁরা। সেই দাবি নিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র প্রাথমিক নয়, এসএসসি নিয়োগের ক্ষেত্রে কাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাও চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আদালত। কাদের নাম বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছে, কাদের ওএমআর-এর প্রাপ্ত নম্বর বদলে গিয়েছে, সেই সব প্রার্থীর নাম সামনে আনতে শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।