অবতক খবর,১৪ জুন,নয়াদিল্লি: করোনাকাল থেকে দেশের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের ভারে ধুঁকছে অর্থনীতি। তার মধ্যেই বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের। আগামী দেড় বছরে সরকারি ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা করা হল। অতি তৎপরতার সঙ্গে নিয়োগকার্য শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে এই ঘোষণা করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘সব বিভাগ এবং মন্ত্রকের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তিনি । পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী দেড় বছরে তৎপরতার সঙ্গে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’

ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকটি দুই মাসেরও বেশি সময় পরে এই নির্দেশ এসেছে। পর্যালোচনার সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবদেরকে নির্দেশ দেন যাতে দ্রুত বিভিন্ন দফতর এবং মন্ত্রকে কর্মী নিয়োগ করা হয়।

২ এপ্রিল সচিবদের সঙ্গে প্রধান্মন্তির বৈঠকের সময়, কর্মসংস্থানের উপর জোর দেন মোদী। তিনি বলেন সরকারী এবং বেসরকারী খাতে সমস্ত সরকারী হস্তক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত কর্মসংস্থান।ক্যাবনেট সচিব এরপরেই অন্যান্য সচিবদের চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে অনুযায়ী অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।

বেকারত্বের প্রশ্নে বিরোধীদের সমালোচনার মাঝেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই ঘোষণার পর মোদি সরকারের কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রানবির সিং সুরজেওয়ালা। তিনি টুইটারে লিখেছেন,’প্রতিবছরের দু’কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। এখন তারা বলছেন ২০২৪ এর মধ্যে মাত্র ১০ লক্ষ চাকরি দেয়া হবে। সরকারের ৬০ লক্ষ পদ খালি পড়ে রয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকারের খালি রয়েছে ৩০ লক্ষ পদ । আর কতদিন চলবে এরকম?