অবতক খবর, বৈষ্ণবনগর : আইসিডিএস সেন্টারে জৈব পদ্ধতিতে ফলানো হচ্ছে রকমারি সবজি। আর সেই সবজি মা ও শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে। গোটা কালিয়াচক-‌৩ ব্লকে রোল মডেল হিসেবে উঠে এসেছে সাহাবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনটোলা অঙ্গনওআড়ি সেন্টারটি। সেখানে ফলছে শীতকালীন যাবতীয় সবজি। শিম, টম্যাটো, ধনে পাতা থেকে প্রায় ১৫/ ২০ রকমের শাক-‌সবজি রয়েছে এই পুষ্টিবাগানে। পুরো জৈব সারের ব্যবহারে ফলছে সবজি। আর এই সবজি মা ও শিশুর পুষ্টির কাজে লাগছে। গোটা কালিয়াচক-‌৩ ব্লকে রোল মডেল হিসেবে গড়ে উঠছে সাহাবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনটোলা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি।

আগামীতে সংশ্লিষ্ট ব্লকের অন্যান্য অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলিতেও পুষ্টিবাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা। করোনা আবহে বুধবার কিশোরী ও প্রসূতিদের নিয়ে পুষ্টি সচেতনতা মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই করোনা আবহে তাদের মা ও বাচ্চাদের যাতে পুষ্টির অভাব না হয়, সেদিকে নজর রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। চাইল্ড ইন নিড ইন্সটিউট-‌এর পরিচালনায় এবং পঞ্চায়েত ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

এদিনের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কালিয়াচক-‌৩ ব্লকের আইসিডিএস-‌এর সিডিপিও নিতাই পাত্র, ব্লক কো-‌অর্ডিনেটর সম্বিত সিনহা, সংস্লিষ্ট ব্লকের সুপারভাইজার প্রমুখ। এদিন বিভিন্ন আধিকারিক সংস্লিষ্ট কর্মীরা ওই পুষ্টি বাগান পরিদর্শন করেন। কিশোরীদের সঙ্গে এই বাগান সম্পর্কে বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন। এদিন মূলত কিশোরী ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য সহজে হাতের কাছে কীভাবে সুন্দর শাক সবজি পাবেন সেটা নিয়ে আলোচনা হয় । আর এই ধরনের উদ্যোগে যথেষ্ট উপকৃত হবেন প্রসূতিরা বলে মনে করেন সংস্লিষ্ট আধিকারিকরা।

কালিয়াচক-৩ ব্লকের সিডিপিও নিতাই পাত্র এদিন বলেন, ‘‌এই করোনা আবহে পুষ্টির গুরুত্ব নিয়ে সচেতন করতে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টির অভাব যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখা। প্রতিটি সংসদ ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুষ্টি নিয়ে মা ও শিশুকে বোঝানো। সময় মতো টিকাকরণের বিষষটিও নজরে রাখার কথা জানানো হচ্ছে আমাদের কর্মীদের।’‌ এদিন বামুনটোলা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে পুষ্টিবাগান পরিদর্শন করে খুশি হয়েছেন সিডিপিও। তিনি বলেন, ‘‌জৈব সার ব্যবহারে বিভিন্ন সবজি ফলানোর বিষয়টিও আমাদের মায়েদের বোঝাতে হবে।’‌

ব্লক কো-‌অর্ডিনেটর সম্বিত সিনহা বলেন, ‘‌বামুনটোলা সেন্টারটি রোল মডেল হিসেবে উঠে এসেছে। আমরা চাই আমাদের ব্লকের প্রতিটি সেন্টারে একইভাবে পুষ্টিবাগার করার ব্যাপারে উৎসাহিত করবো। তাতে কিশোরী ও প্রসূতি মায়েদের সুষম নির্ভেজাল শাক সবজি পাওয়া আরো সহজতর হবে। সেন্টারের ফলানো পুষ্টিকর সবজি রান্না করা অবশ্যই একটা ভাল দিক রয়েছে।’‌ আমাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট কিশোরী ও প্রসূতি মায়েদেরকে যাতে সঠিক পরিসেবা ও পুষ্টিকর শাকসবজি প্রদান করতে পারি। এই পুষ্টি বাগানের বিভিন্ন দিকটা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।