অবতক খবর,১৬ মে,হলদিয়া: জীবনের প্রথম ‘বড়’ পরীক্ষাতে নজরকাড়া সাফল্য! প্রকাশিত হল আইসিএসই (দশম) পরীক্ষার ফল। আইসিএসই’এর (দিল্লি বোর্ড) গত বছর দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় রাজ্যে পঞ্চম স্থান হয়েছিল হলদিয়ার শ্রেয়শী সেনগুপ্ত।

এবারেও হলদিয়ার নজর কাড়া সাফল্য পেয়েছে সুস্বেতা ভট্টাচার্য্য ও তনিষ্ঠা মাইতি। হলদিয়ার বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের ছাত্রী। ৫০০ মধ্যে ৪৯০ পেয়েছে। সুস্বেতা ভট্টাচার্য্য বলেন পড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তি করতে ও গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। ভবিষ্যতে কাডিওলজিস্ট ডাক্তার হতে চায় সুস্বেতা। সুস্বেতা ভট্টাচার্য্য বাবা সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য হলদিয়া বেসরকারী (ফাইভস্টার গ্রুপ অফ কোম্পানি) প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মা  অর্পিতা ভট্রাচার্য্য গৃহবধূ। তনিষ্ঠা মাইতি বলেন ছবি আঁকতে ভালোবাসে। ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। বাবা তুহিনকান্তি মাইতি  হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যালসে কর্মরত মা সুমনা মাইতি গৃহবধূ। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, পড়াশোনায় খুব মেধাবী, নার্সারি থেকে পড়ছে সুস্বেতা ভট্টাচার্য্য এবং তনিষ্ঠা মাইতি সপ্তম শ্রেনী থেকে পড়ছে দুই জনে ভালো পড়াশোনা করে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়িতা চক্রবর্তী থেকে শুরু করে আত্মীয় – স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাই ফোন করে শুভেচ্ছাবার্তা জানায়। স্কুলের প্রিন্সিপাল জয়িতা চক্রবর্তী বলেন ৯২ জন এবারে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তার মধ্যে ৩২ জন ৯০% নম্বর পেয়েছেন এবং অন্যান্যরা সাফল্যের সহিত পাশ করেছেন।দুইজন ট্রপার হয়ে ৯৮% নম্বর পেয়েছেন। তনিষ্ঠা মাইতি ও সুস্বেতা ভট্টাচার্য্য। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীলকান্ত দে ও সোমনাথ পুটাতুন্ডা।

দুই জনে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস করেছে সুস্বেতা ভট্টাচার্য্য ও তনিষ্ঠা  মাইতি। এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে দুই জনকে মিষ্টি খাইয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।সুস্বেতা ও তনিষ্ঠা জানায়, পড়াশোনার নির্দিষ্ট কোন সময় ছিল না। প্রায়ই চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম। স্কুলের শিক্ষক – শিক্ষিকারা সব সময় পাশে থেকেছেন। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তনিষ্ঠা মাইতি বলেন ভবিষ্যতে আমি আইআইটিতে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়িতা চক্রবর্তী বলেন বেশিরভাগ নবম ও দশম শ্রেনীর ক্লাস অনলাইনে হয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী ছিলাম দুইজনে ভালো ফল করবে।