অবতক খবর,৫ নভেম্বর: একবছর আগে হালিশহর দত্তপাড়ায় রোহন প্রসাদের সঙ্গে বিয়ে হয় হালিশহর মনসাতলার বাসিন্দা বছর ২২ এর এক যুবতীর (পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে)। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী রোহন প্রসাদ, শ্বশুর দীনেশ প্রসাদ (পেশায় স্কুল শিক্ষক ও এর পাশাপাশি মুহুরির কাজ করেন) এবং শ্বাশুড়ী মিলে বিভিন্নভাবে তার উপর অত্যাচার চালাতো।

কখনো টাকা পয়সার জন্য, আবার কখনো গাড়ির জন্য। মেয়ের সুখের কথা ভেবে মেয়ের বাবা চন্দ্র কিশোর প্রসাদ(৪৪) এই এক বছরে মোট ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং একটি বাইক রোহন প্রসাদকে দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও তাদের লোভ কমেনি। বরং তারা এবার সংসার খরচ ও একটি চারচাকা গাড়ির জন্য যুবতীর উপর চালাতে থাকে অকথ্য নির্যাতন। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ এই অত্যাচার চরমে পৌঁছায়। স্বামী রোহন প্রসাদ প্রথমে ওই যুবতীকে বালিশ চাপা দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। বিফল হলে পরে শ্বশুর দীনেশ প্রসাদ তাকে উদ্দেশ্য করে ভোজালি ছুড়ে মারে। কিন্তু কোনমতে ওই যুবতী প্রাণে বাঁচে এবং পালিয়ে ঘরের বাইরে চলে আসে। যুবতী নিজের মা বাবা কে ফোন করে।

মেয়েকে নিয়ে বাবা চন্দ্র কিশোর প্রসাদ এবং মা যখন আলোচনার জন্য মেয়ের শ্বশুর বাড়ি আসেন তখন তাদের বেধড়ক মারধর করে যুবতীর স্বামী, শ্বশুর এবং মামা শ্বশুর পঙ্কজ রায়। গুরুতর আহত হন চন্দ্র কিশোর প্রসাদ এবং তার স্ত্রী মীনা দেবী। তারা আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এরপরই ওই যুবতী বীজপুর থানায় স্বামী, শ্বশুর এবং মামা শ্বশুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আজই কোর্টে তোলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেশ নং ৪৬৯/২০, Section – 341/323/325/326/307/34 I.P.C ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

ওই যুবতী জানান, গতকয়েকমাস ধরে তিনি এই অত্যাচার সহ্য করে আসছেন। মারধরের পাশাপাশি তারা তাকে প্রাণে মারার হুমখি দিত,যার কারণে ভয়ে সে এতদিন কিছুই করতে পারেনি।