অবতক খবর,১৪ জুনঃ “অর্জুন দা, তুমি হাল ধরো,নাহলে এখানকার নেতারা দিদির চটি তো বিক্রি করেই দিয়েছে,আরো অনেক কিছু বিক্রি করে দেবে।” এমন বলেই সাংসদ অর্জুন সিংকে অভিযোগ জানালেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অশোক পাল। ১৩ই জুন রাত আটটা নাগাদ সাংসদ অর্জুন সিং এসেছিলেন কাঁচরাপাড়া মিলন নগর সংলগ্ন অঞ্চলে। প্রাক্তন কাউন্সিলর সুজিত দাস(বাপি)-র কাছে এসেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অঞ্চলের একাধিক পুরনো নেতৃত্বরা। সেখানে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলেন।

আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করি যে,”আপনারা সমস্ত অভিযোগ সাংসদের কাছে কেন জানাচ্ছেন? বিধায়কের কাছেও জানাতে পারতেন!”

জবাবে তারা বলেন, ‘এখানকার নেতৃত্বদের বিরুদ্ধেই যদি অভিযোগ থাকে তবে তো সাংসদের কাছেই জানাতে হবে।’

তবে এই সকল অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠে এলো অশোক পালের। কয়েকমাস আগেও এই অশোক পাল আমাদের অবতক খবরে মুখ খুলেছিলেন বীজপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। ফের তিনি মুখ খুললেন সাংসদের কাছে।

তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ,যারা দল করবে তারা কোনো কন্ট্রাক্টরের সাথে যোগাযোগ রাখবে না। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে নেতারাই কন্ট্রাক্টরি করছে। কন্ট্রাক্টাররা আর সেইভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে না।

তাই তিনি অর্জুন সিং-কে অভিযোগ জানিয়ে বলেন,”অর্জুন দা,তুমি বিষয়গুলো দেখো। এখানকার নেতাদের আর ভরসা করা যায় না। সব নিজেরাই লুট করে নিচ্ছে।”

পাল্টা অর্জুন সিং নিজের ভাষায় বলেন,”কিছু নেতা তো বরাবরই লাথখোর,লাথি খাবে আবার বেরিয়ে চলে যাবে। তাদের সময় ঘনিয়ে এসেছে।” এমন বলেই তিনি অশোক পালকে বলেন,”আপনি যান,সব ঠিক হয়ে যাবে।”

বীজপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে ক্যামেরার সামনে। দলের এখন কি পরিস্থিতি তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।