অবতক খবর,৩১ অক্টোবর: নিউ টাউন ইকো পার্কে প্রাতভ্রমণে দিলীপ ঘোষের সাথে চলল প্রশ্ন উত্তর পর্ব——

প্রশ্ন:: টাটার ক্ষতিপূরণ।
উত্তর :: এরা রাজনৈতিক স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে সামাজিক বা দেশের কোন লাভ হয়নি। এত বড় শিল্পপতি কে ওখান থেকে সরানো। তিন ফসলি জমি দেওয়াটাও ঠিক হয়নি আবার সেই জমিকে বন্ধ করে দিয়ে বেকার করে দেওয়ার কোন মানে হয় না। সিপিএমও করেছে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে টিএমসিও করেছে তাই। তার ফল ভক্তি হয়েছে সাধারণ মানুষকে। চাকরিও গেল ব্যবসা গেল জমিও গেল। এখন টাকাও যাবে… এর দায়টা কে নেবে??
এর দায় নিতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে মানুষের কাছে।

প্রশ্ন:: হাসপাতাল থেকে হেঁটে এলেন বালু। আজ জেরা শুরু ইডি’র।

উত্তর :: আমি আগেও বলেছিলাম কোন পার্মানেন্ট রোগে তিনি অসুস্থ নন। সিরিয়াস তো নন ই। সাময়িক একটা ঝটকা খেয়েছেন। চাপে তো শরীর খারাপ হতেই পারে! এতক্ষণ ধরে জেরা করেছে, বিপি সুগার বাড়তেই পারে। এখন তো সুস্থ আছেন।
এখন যে উদ্দেশ্যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই প্রক্রিয়া তদন্ত শুরু করা উচিত; তাড়াতাড়ি তার কাছ থেকে তথ্য নেওয়া উচিত। অনেক কিছু তথ্য বেরোতে পারে ওখান থেকে। অনেক ভেতরের লোক উনি, অনেক পুরনো লোক! তাই অনেক কিছু তথ্য বেরোতে পারে।

প্রশ্ন:: বাকিবুরের বাম আমলের যোগ।
উত্তর :: যারা এই ধরনের দালালি করে তারা সবার সঙ্গে যোগ রাখে। সবাইকে কিছু না কিছু করে পটিয়ে রাখে ওরা। কিন্তু তাদেরকে বাড়িয়েছে কারা?? এই ধরনের নেতারা!! তারা সুবিধা নিয়েছে। এই ধরনের দালাল… এদেরকে কিছুটা সুবিধা নিয়ে এদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধরনের ফোঁড়ে দালাল তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গ কে একেবারে দুর্নীতিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন::হাউ ইজ দা জোশ… দিলীপ ঘোষ।
উত্তর :: জোশ যখন আসে মানুষের; তখন এই ধরনের স্লোগানও আসে। ক্রিকেটের মাঠে দেখেন না। আমাদের কর্মীরা কাজ করতে চায়; তারা লড়তে চায়। কালকে যারা দেখা করতে চেয়েছিল , আমি ডেকেছিলাম। এসেছিল, বিজয়া সম্মেলনে। অনেকদিন পর দেখা হল অনেকের সাথে। মনের মধ্যে ফুর্তি এলে এ ধরনের উৎসাহ আসে, স্লোগানও আসে।
প্রশ্ন:: মুখ্যমন্ত্রী কেইসা হো দিলীপ ঘোষ জে হো।
উত্তর :: রাজনীতিতে আবেগে অনেকে অনেক কথাই বলে; অনেক স্লোগান তৈরি হয়। ভারতবর্ষে অনেক নেতাকেই অনেক নামে ডাকা হয়েছে, তারা যোগ্য কি অযোগ্য সে পরের কথা। এটা রাজনীতিতে চলে কোন সিরিয়াস ম্যাটার নয়।
প্রশ্ন: বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের জোশ কি কম?*
উত্তর :: জোশ কারো কম নয়। কর্মীদের মধ্যে জোশ কম আছে। কর্মীদের মধ্যে জোশ না এলে পার্টি এগোতে পারে না। যতদিন আমাদের মধ্যে জোশ ছিল, আমরা এগিয়েছি। সবাই আছে, আবার ইলেকশন আসছে। নেতারা আসবেন, নরেন্দ্র মোদী আসবেন। পাটি কর্মসূচি নিয়েছে, জোশ আবার আসবে।